পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

খোলা জুটমিল, রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ পাচ্ছেন না বহু শ্রমিক - স্যানিটাইজেশন

কার্যত লকডাউনে হুগলির জুটমিলগুলিতে 30 শতাংশ লোক নিয়ে কাজ হচ্ছে ৷ কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে রোটেশন পদ্ধতিতেও অনেক শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন না ৷ পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে জুটমিল শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

Many jute mill workers are not getting work in rotation system in hooghly
লকডাউনেও খোলা জুটমিল, রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ পাচ্ছেন না বহু শ্রমিক

By

Published : May 20, 2021, 4:20 PM IST

Updated : May 21, 2021, 2:37 PM IST

হুগলি, 20 মে : কার্যত লকডাউনে নিয়ম মেনেই চলছে হুগলির জুটমিলগুলি । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 30 শতাংশ কর্মী নিয়ে তিন শিফটে চলছে কাজ । হুগলি জেলায় 8টি উপর জুটমিল থাকলেও 6টির মতো চালু রয়েছে । বেশিরভাগ ভাগ এমনিতেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । জুটমিলের শ্রমিকরা মাস্ক পরে কাজ করলেও জুটমিলের মধ্যে কতটা সামাজিক দূরত্ব থাকছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এমনিতেই শ্রমিক মহল্লাগুলির জন্য মিল কর্তৃপক্ষ স্যানিটাইজেশন ও থার্মাল স্ক্রিনিং সহ সমস্ত রকম ব্যবস্থা রেখেছে । তবে, শ্রমিকদের দাবি 30 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হলেও, অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না । এমনকি বেশ কয়েকজন শ্রমিক ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন । কার্যত লকডাউনের কারণে তাঁরাও আর ফিরতে পারেননি । ফলে সেখানেও অনেক শ্রমিক কমে গিয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও সব শ্রমিকের কাজ না পাওয়া চিন্তা বাড়িয়েছে সংগঠনগুলির ৷

বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক বিজয় পান্ডে জানিয়েছেন, এমনিতেই 30 শতাংশ শ্রমিক নিয়ে জুটমিলগুলি চলছে । তার মধ্যে তিনটি জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে । শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না । মেয়ের বিয়ে ও পড়াশোনা খরচ দিতে পারছেন না অনেকে । তৃণমূল জিতে বলেছিল জুটমিলের জন্য ভাল কাজ করবে । কিন্তু কিছুই হয়নি । করোনা বড় সমস্যা মানছেন তিনি । তবে, যে 70 শতাংশ শ্রমিক বসে আছেন তাঁদের কী হবে, প্রশ্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতার ৷ তাই রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর অনুরোধ, করোনার জন্য যাঁদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, চিকিৎসা করাতে পাচ্ছেন না তাঁদের সাহায্য করা হোক ৷

হুগলি জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সন্তোষকুমার সিং বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে কিছু জুটমিল বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ জুটমিলেই তিন শিফটে কাজ হচ্ছে । সেটাও করোনাবিধি মেনে হচ্ছে ।’’ তাঁর মতে, করোনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । তিনি জানিয়েছেন, শ্রম দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর । জুটমিল শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ।

আরও পড়ুন :রায়গঞ্জে 'মমতার স্পর্শ', অভুক্ত করোনা আক্রান্তদের মিলছে খাদ্যসামগ্রী

অন্যদিকে, শ্রমিক কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার জুটমিল চালু রাখার কথা বলেই খালাস । কিন্তু জুটমিলে করোনাবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় । এমনকি শ্রমিকদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ । রাজ্য ও কেন্দ্র এ বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে কিনা কারও জানা নেই । গতবারেই এক নির্দেশিকা বের হয়েছিল । যেখানে বলা হয়, করোনাকালে জুটমিল বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে । কিন্তু কয়েকটি জুটমিল ছাড়া কোনও জুটমিলেই টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । এমনকি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি । এর থেকে বোঝা যাচ্ছে রাজ্য বা কেন্দ্র কেউ এ নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করেনি । সেই সঙ্গে মিল কলোনিগুলিতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ৷ শ্রমিকদের ভ্যাকসিনেশন জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

খোলা জুটমিল, রোটেশন পদ্ধতিতে কাজ পাচ্ছেন না বহু শ্রমিক

এ নিয়ে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, জুটমিলের শ্রমিকদের ব্যাপারে রাজ্য সরকার যথেষ্টই তৎপর । তাঁদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী ।

Last Updated : May 21, 2021, 2:37 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details