হুগলি, 20 মে : কার্যত লকডাউনে নিয়ম মেনেই চলছে হুগলির জুটমিলগুলি । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 30 শতাংশ কর্মী নিয়ে তিন শিফটে চলছে কাজ । হুগলি জেলায় 8টি উপর জুটমিল থাকলেও 6টির মতো চালু রয়েছে । বেশিরভাগ ভাগ এমনিতেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে । জুটমিলের শ্রমিকরা মাস্ক পরে কাজ করলেও জুটমিলের মধ্যে কতটা সামাজিক দূরত্ব থাকছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এমনিতেই শ্রমিক মহল্লাগুলির জন্য মিল কর্তৃপক্ষ স্যানিটাইজেশন ও থার্মাল স্ক্রিনিং সহ সমস্ত রকম ব্যবস্থা রেখেছে । তবে, শ্রমিকদের দাবি 30 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হলেও, অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না । এমনকি বেশ কয়েকজন শ্রমিক ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন । কার্যত লকডাউনের কারণে তাঁরাও আর ফিরতে পারেননি । ফলে সেখানেও অনেক শ্রমিক কমে গিয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও সব শ্রমিকের কাজ না পাওয়া চিন্তা বাড়িয়েছে সংগঠনগুলির ৷
বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক বিজয় পান্ডে জানিয়েছেন, এমনিতেই 30 শতাংশ শ্রমিক নিয়ে জুটমিলগুলি চলছে । তার মধ্যে তিনটি জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে । শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না । মেয়ের বিয়ে ও পড়াশোনা খরচ দিতে পারছেন না অনেকে । তৃণমূল জিতে বলেছিল জুটমিলের জন্য ভাল কাজ করবে । কিন্তু কিছুই হয়নি । করোনা বড় সমস্যা মানছেন তিনি । তবে, যে 70 শতাংশ শ্রমিক বসে আছেন তাঁদের কী হবে, প্রশ্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতার ৷ তাই রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর অনুরোধ, করোনার জন্য যাঁদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, চিকিৎসা করাতে পাচ্ছেন না তাঁদের সাহায্য করা হোক ৷
হুগলি জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সন্তোষকুমার সিং বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে কিছু জুটমিল বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ জুটমিলেই তিন শিফটে কাজ হচ্ছে । সেটাও করোনাবিধি মেনে হচ্ছে ।’’ তাঁর মতে, করোনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । তিনি জানিয়েছেন, শ্রম দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর । জুটমিল শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ।
আরও পড়ুন :রায়গঞ্জে 'মমতার স্পর্শ', অভুক্ত করোনা আক্রান্তদের মিলছে খাদ্যসামগ্রী