চন্দননগর, 16 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ ৷ বাদ যাননি চন্দননগরের আলোক শিল্পীরাও ৷ কাজের অর্ডার নেই ৷ বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকেই ৷ এরকম চলতে থাকলে কাজ বন্ধের আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷
নববর্ষে কাজের অর্ডার নিতে শুরু করেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা ৷ দুর্গাপুজো, কালীপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজো নয় ৷ বিদেশ থেকেও তাঁদের কাছে এই সময় থেকেই অর্ডার আসতে শুরু করে ৷ কিন্তু, এবছর ছবিটা পালটে গিয়েছে ৷ লকডাউনের জেরে পুরনো কাজের অর্ডার বাতিল হয়েছে ৷ নতুন কাজও পাচ্ছেন না শিল্পীরা ৷ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু শিল্পী ৷ বাইরে বের হতে পারছেন না ৷ সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নিজেরাই করছেন ৷ এই পরিস্থিতি না বদলালে ভবিষ্যতে তাঁদের কাজ বন্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্পীরা ৷
টানা লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কল-কারখানা বন্ধ ৷ বন্ধ উৎপাদন ৷ এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই ৷ দুর্গাপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোকে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেন আলোক শিল্পীরা ৷ বড় বাজেটের পুজোগুলির অর্ডার নিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন তাঁরা ৷ তবে এবছর পরিস্থিতি অনুকূল নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা জমায়েত না করার নিয়ম যদি পুজোর সময়ও থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন অর্ডার না আসার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী বাবু পাল ৷