চন্দননগর, 29 অক্টোবর:আদি থেকে আধুনিক কলকাতা সেই নিয়েই তৈরি চন্দননগর বড়বাজারের (Jagadhatri Puja Celebrate in Chandannagar) এবারের থিম। পুজো মণ্ডপের সামনে ঢুকতেই জব চার্নকের স্ট্যাচু লাগানো। অন্যদিকে রয়েছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী বেহালার বাড়ি ৷ তৎকালীন পুরনো কলকাতা শহর ও তার সংস্কৃতি তুলে আনা হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে।
সেই সময়ের বিখ্যাত গণেশ পালের স্টুডিয়ো রয়েছে এখানে। ফটোগ্রাফি স্টুডিয়োর ডার্করুম থেকে পুরনো বই ছাপার প্রেস দেখানো হচ্ছে আদি কলকাতায়। দেখানো হয়েছে, আধুনিক কলকাতার মেট্রো রেল। পুরনো বাড়ি ভেঙে কাজ চলছে মেট্রোর। সেই আমলে সরকারি অনুমোদিত আফিন বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। তাও তুলে ধরা হয়েছে এই মণ্ডপে। কলকাতা শহরকে (City of Joy) নীচে থেকে দেখলে যে ছবি ভাসে তার অনুকরণে এই মণ্ডপ ৷
শহরের বড় বড় আবাসনের স্ট্রাকচার বানানো হয়েছে ৷ যা তৈরি করতে লোহা ও সিমেন্টের ঘরও তৈরি করা হয়েছে ৷ কালী কলকাত্তা ওয়ালি সেই প্রবাদ থেকে কালীর পোস্টার লাগানো হয়েছে একপাশে। বারো জনের দান নিয়ে যে বারোয়ারী তৈরি হয় তাও করা হয়েছে ৷ বারোয়ারীর বারোটা দানের বক্সও দেওয়া রয়েছে সেখানে। এই অংশটি স্থান পেয়েছে মূল মণ্ডপের ভিতরে ৷
চন্দননগর বড়বাজারের জগদ্ধাত্রী পুজো আরও পড়ুন:কবিগুরুর হাতে গড়া শান্তিনিকেতন ঘুরতে এলেন প্রধান বিচারপতি
তবে থিমের ঢল থাকলেও চন্দননগরের সাবেকি ডাকের সাজেই তৈরি হয়েছে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা (Jagadhatri Idol)। এবছরে এক নামী গহনা প্রস্তুতকারী সংস্থা বড়বাজার জগদ্ধাত্রী প্রতিমাকে সোনার অলঙ্কারে সুসজ্জিত করেছে। চন্দননগর বড়বাজারের পুজো কমিটির কর্তা প্রণব শীল বলেন, "এবছরে পুজোর বাজেট প্রায় 40 লক্ষ টাকা। চন্দননগরের আলো মানে নতুন চমক তো থাকবেই। স্ট্রিট লাইট তো থাকছেই। আর শোভাযাত্রায় থাকছে মা দুর্গার বোধনের উপর লাইটিং।"