হুগলি, 6 নভেম্বর : ভাইফোঁটা মানেই মিষ্টি মুখ, আর সেই কথা মাথায় রেখেই রকমারি মিষ্টির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে হুগলির বিভিন্ন মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে ডাব মালাই, কাজুবাবু সন্দেশ ও ক্রিম প্যাটিস সন্দেশ-সহ একাধিক স্পেশাল মিষ্টি তৈরি হয়েছে। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে রকমারি এইসব মিষ্টি কিনতে বিভিন্ন দোকানে পড়ছে ক্রেতাদের লম্বা লাইন ৷ শনিবার সকালেও মিষ্টির দোকানগুলির সামনে দিদি-বোনেদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে ৷
ভাইফোঁটায় ভাই, দাদাদের পাতে মিষ্টি তুলে দিতে সব ধরনের মিষ্টি নিচ্ছেন বোনেরা। বিভিন্ন দোকানে তৈরি হয়েছে স্পেশাল মিষ্টি যেমন, ডাব মালাই ও ক্রিম-চকলেট সন্দেশ ৷ এই মিষ্টিগুলির চাহিদা অনেকটাই বেশি । মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানগুলির দাবি, করোনা আবহ থাকলেও এবছর ভাইফোঁটার বাজারে মিষ্টির চাহিদা বেশ ভালই। চন্দননগরের বাবা পঞ্চান্ন মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের এবারের নতুন উদ্ভব ডাব মালাই। এর বিশেষত্ব হল, ডাবের মধ্যে থাকছে বিভিন্ন রঙ ও স্বাদে তৈরি বিশেষ মিষ্টি। স্ট্রবেরি, চকলেট, পেস্তা-সহ বিভিন্ন স্বাদের মালাই করে রাখা হয়েছে তার মধ্যে, যার দাম পড়ছে 180 টাকা থেকে 200 টাকার মধ্যে । জেমস, জেলি ও চকলেটের বিডস দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ডাব মালাইকে।
ডাব মালাই থেকে কাজুবাবু, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে চাহিদা বিশেষ মিষ্টির আরও পড়ুন : School Reopening : ক্লাস শুরু হতে আর ক'টা দিন, বহু স্কুলভবনে এখনও চরম দুরবস্থা
এছাড়াও হুগলির আরেক মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান মৃত্যুঞ্জয়। তারা সন্দেশের স্পেশাল দু'টি মিষ্টি তৈরি করেছে এবার। তার মধ্যে কাজুবাবু হল সন্দেশের উপর ভাজা কাজু পেস্তা দিয়ে সাজানো বিশেষ মিষ্টি। এড়াড়াও সন্দেশের উপর ক্রিম দিয়ে সন্দেশকে এক অন্যমাত্রা দিয়েছে এই দোকান। এছাড়াও এবছর থেকে ডালডার পরিবর্তে ঘি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করছে এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে তো দই, রসগোল্লা আছেই।
বাবা পঞ্চান্ন মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের তরফে ধনঞ্জয় দাস বলেন, "এবারের মূল আকর্ষণ ডাব মালাই। এটা চার রকমের স্বাদে করা হয়েছে । পেস্তা, ভ্যানিলা, ম্যাংগো ও চকলেট ৷ এর ভাল চাহিদাও আছে ক্রেতাদের মধ্যে। এছাড়াও চকলেট মিষ্টির মধ্যে আছে ম্যাংগো মস্তি, স্ট্রবেরি চকলেট। সম্পূর্ণ অন্য স্বাদের তৈরি করা মিষ্টিও রয়েছে । এই ধরনের মিষ্টি সাধারণত কেউ করেনি এর আগে ৷ সম্পূর্ণ নতুন চিন্তাভাবনা এটা। মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে মিষ্টির দাম ।"
মৃত্যুঞ্জয় মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তা সুবীর পাল বলেন, "ছোট এবং বড় দুই ধরনের খাজা তৈরি করা হয়েছে ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে ৷ তাছাড়াও আছে লবঙ্গ লতিকা, ক্ষীরকান্তি, কাজুবাবু সন্দেশ-সহ একাধিক মিষ্টি। এবছর এসব কিছুই ঘি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের সন্দেশের সঙ্গে রং মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয় না। কালীপুজোর পরেই নতুন গুড়ের সন্দেশ আমরা তৈরি করে থাকি । এছাড়াও আছে কেশর রাজভোগ ও গুলাব রাজভোগ। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মিষ্টির চাহিদা গত বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই বেশি। 100 টাকার মধ্যেই ভাইদের জন্য পাঁচ রকমের মিষ্টি কিনে নিয়ে যেতে পারেন আমাদের দোকান থেকে ৷ সব ধরনের ক্রেতার কথা ভেবে সন্দেশের দাম আমরা কুড়ি টাকার মধ্যেই রেখেছি।"