চন্দননগর, 18 এপ্রিল : ইতিমধ্যেই রাজ্যের রেড জ়োনগুলির উপর নজরদারির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । গতকাল হাওড়ার জেলা প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক । কিন্তু দ্রুত জেলার স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে হবে । এদিকে, হাওড়ার পাশেই হুগলি । এক জেলার সীমান্তে শুরু অন্য জেলার । তাই সংক্রমণের আশঙ্কাও প্রবল । এই পরিস্থিতিতে হাওড়া-হুগলি বর্ডার বালিখালে শুরু হল নাকা চেকিং ও থার্মাল স্ক্রিনিং ।
উত্তরপাড়া পৌরসভা ও চন্দননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বালি খাল, জিটি রোডের উপর চেকিং ও স্ক্রিনিং শুরু হয় আজ সকাল থেকে । হাওড়ার বালির দিক থেকে যে সমস্ত গাড়ি হুগলিতে প্রবেশ করছে তাদের চেকিং করার পাশাপাশি আরোহীদের থার্মল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে । কারোর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
এবিষয়ে, চন্দননগর কমিশনারেটের ACP ট্র্যাফিক সুভাষচন্দ্র দাস বলেন, "নাকা চেকিং শুরু হয়েছে । সকলেই কথা শুনছেন । যাঁরা শুনছেন না তাঁদের বোঝানো হচ্ছে ।"
এবিষয় উত্তরপাড়া পৌরসভার প্রধান দিলীপ যাদব বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী গতকাল কিছু সাবধানতা নিতে বলেছেন । তাই পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর হাওড়া- হুগলি এন্ট্রি পয়েন্টে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে । থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে । যদি কারও কিছু লক্ষণ ধরা পড়ে । এখান থেকেই তাঁর ফোন নম্বর নিয়ে তাঁকে পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"
অন্যদিকে, কোয়ারানটাইন সেন্টারের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আজ টিটাগর ওয়াগন কারখানায় যান হুগলির জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও এবং চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির । জেলা শাসক জানান, জেলার কোয়ারানটাইন সেন্টারগুলির মধ্যে সবথেকে বড় সেন্টার । একসঙ্গে প্রায় 4০০ জন লোক থাকতে পারবে । আপাতত 200 বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে । থাকা, খাওয়া, স্নানের সমস্ত রকম ব্যবস্থা থাকছে এখানে । মানসিক অবসাদ যাতে না আসে সেজন্য টিভির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে । নিরাপত্তার খাতিরে থাকছে CCTV ক্যামেরাও ।