শ্রীরামপুর, 23 এপ্রিল :অন্তঃসত্ত্বা সহকর্মীর জন্য স্কুলেই সাধের আয়োজন করেছিলেন কয়েকজন শিক্ষিকা ৷ তবে বেশ কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়েই সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকাকে বাদ দিয়েই চলে খাওয়া-দাওয়া । সেই নিয়েই যত ঝামেলা ৷ নেমতন্ন না পেয়ে শিক্ষিকাদের মধ্যে বাঁধল তুমুল ঝগড়া, অশান্তি ৷ যা দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ৷ গত বুধবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুরের মাহেশে পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে ৷
অনুষ্ঠানের পরদিন ওই বাদ যাওয়া শিক্ষিকারা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্রর কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চাইতে যান । তখন অন্য সহ-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় (Baby Shower at Serampore School)। নিমেষের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচিতে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয় । প্রধান শিক্ষিকা পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য অজ্ঞান হয়ে পড়েন । একদিকে চলছে ঝগড়া অন্যদিকে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা ৷ তবে তিনি অজ্ঞান না হলে নয়তো অশান্তি পৌঁছত চুলোচুলিতে ৷ শুরু হয়ে যেত ধুন্ধুমার ৷ যাইহোক, এরপর ঝগড়া থামিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ।
আরও পড়ুন :কি হবে ভবিষ্যত! বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রেলের স্কুলের প্রিন্সিপাল
বর্তমানে সুস্থ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিঠু মৈত্র বলেন, "এর আগেও একজন শিক্ষিকাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল । তাই আমাকে সাধের কথা বললেও আমি তাতে অংশগ্রহণ করিনি । কুড়ি বছর হল স্কুলে রয়েছি, কোনওদিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি । সেদিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছি ।" তিনি আরও বলেন, "আট জন শিক্ষিকা আমার কাছে এসে উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করে । তাতেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি । আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি । এসবের কারণে আমি ভয়ে আছি । আমাকে যেন আর কোনওদিন আক্রমণ না করা হয় ।"
ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যান পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শ্রীরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর তিয়াসা মুখোপাধ্যায় । এই ঘটনায় সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । ঘটনার নিন্দা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটি । স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তিয়াসা মুখোপাধ্যায় বলেন, "খুবই নিন্দনীয় ঘটনা । খবর পাওয়ার পর আমি স্কুলে গিয়ে দেখি বড়দি কাঁপছেন ৷ এ ধরনের ঘটনা কখনই বাঞ্ছনীয় নয় । স্কুলে মিটিং করে একটা কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । মাহেশে এত ভাল একটা স্কুলে পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া চলবে না । অন্যদিকে, ঘটনায় অভিযুক্ত সহ-শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন ৷
সাধের অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিক্ষিকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সে থেকেই সূত্রপাত ঝগড়ার