দার্জিলিং, 4 সেপ্টেম্বর:পুজোর ছুটিতে ভাবছেন কোথায় যাবেন? ভিড়ভাট্টায় একদমই যেতে চাইছেন না, আবার পকেটেরও চিন্তা করছেন? লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যেতেও হবে না সুইৎজারল্যান্ড। শৈলরানি দার্জিলিংয়ের বুকে অবস্থিত এই গ্রামটিতে গেলে মনে হবে চলে এসেছেন মিনি সুইৎজারল্যান্ডে। চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন- পাহাড়ের নির্জন পথ, কাঞ্চনজঙ্ঘায় মেঘ রোদের খেলা, হালকা ঠান্ডা, আপনি প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। সবকিছু পাবেন এখানে। যার নাম 'তোরিয়ক'।
সামনে পুজোর ছুটি। ছুটিতে মন ডাকছে পাহাড় যাওয়ার জন্য? কিন্তু সেই একঘেঁয়ে ম্যাল কিংবা টাইগার হিলের ভিড় এড়াতে চাইছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে। যেখানে গেলে মনে হবে চলে এসেছেন সুইৎজারল্যান্ডে ৷
তোরিয়ক জায়গাটি পরিচিত 'পাহাড়ের সুইৎজারল্যান্ড' হিসেবে। হুবহু সুইৎজারল্যান্ডের প্রকৃতি বিরাজমান এই গ্রামে। এখানে ঘুম ভাঙতে লাগবে না কোনও অ্যালার্ম। পাখির কলতান আর ঝরনার ঝরঝর শব্দে ঘুম ভেঙে যাবে আপনিই।
আর জানলা দিয়ে হাত বাড়ালেই দেখা মিলবে মেঘের। হাঁটতে বেরিয়ে নাগালে পাবেন কমলার বাগান, পাইনের জঙ্গল ৷ সঙ্গে পাহাড়ি ঝরনার শীতল স্নিগ্ধ জল আর চা বাগানের সবুজ আচ্ছাদন। যেন এক নন্দনকানন!
দার্জিলিংয়ের সিটং অঞ্চলে পরে এই গ্রাম তোরিয়ক। আপার সিটংয়ের খুব কাছে অবস্থিত এই গ্রামটি। খুব অল্প জায়গায় গড়ে উঠেছে এই গ্রাম ৷ কিন্তু ওই গ্রামেই যেন প্রকৃতির সব সৌন্দর্য্য ঢেলে দিয়েছে ভগবান। শিলিগুড়ি থেকে তোরিয়কের দূরত্ব 70 কিলোমিটার।