শিলিগুড়ি, 28 অক্টোবর : অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য 104 একর জমি হস্তান্তর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । যদিও বাস্তবে সেই জমি এখনও হাতে পায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে বুধবার বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য বর্ধিত টার্মিনাল ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিনীত গুলাঠি । সেই সভায় দিল্লি থেকেই জমি কেন এখনও হস্তান্তর হয়নি তা জানতে চান তিনি ।
দেশের অন্যতম লাভজনক বিমানবন্দর এই বাগডোগরা বিমানবন্দর । গত বছরে এই বিমানবন্দরে লাভ হয় প্রায় 25 কোটি টাকা । কোভিড পরিস্থিতির আগে এখানে দিনে 72 টি বিমান চলাচল করত । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাতেও বিমান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে এখানে । সেক্ষেত্রে সারা দিনে বাগডোগরাতে 80 টি বিমান চলাচল করবে ।
ক্রমাগত যাত্রী বাড়তে থাকায় , ওয়েটিং এরিয়ায় স্থান সঙ্কুলান হচ্ছিল না । সে সমস্যা মেটাতে 5 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে টার্মিনাল ভবনের বর্ধিত অংশ । ওয়েটিং এরিয়ায় ছশো থেকে বাড়িয়ে নশো জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এই ওয়েটিং এরিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্তারা জানিতে চান জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে কি না । জবাবে বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুবামনি জানান, "কিছু কাগজপত্র পেলেও এখনও জমির অধিকার হাতে আসেনি । ফলে নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ শুরু করা যায়নি । "
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, জমি জট কাটেনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক সভায় জমি হস্তান্তর হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী । সেই দিনই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজ তুলেও দেওয়া হয়। যদিও এখনও সেই জমির অধিকার পায়নি বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সুব্রমনি পি বলেন, "জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। জমির অধিকার এখনও আমাদের কাছে আসেনি । তা এলেই আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক বিমানবন্দর টার্মিনাল গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে । এই কাজে খরচ হবে কয়েকশো কোটি টাকা । "