শিলিগুড়ি, 2 অগস্ট: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিপুল ক্ষতির মুখে উত্তরের চা-শিল্প । কখনও অতিবৃষ্টি, আবার কখনও তীব্র দাবদাহ । গোদের উপর বিষফোঁড়া । তাপমাত্রার ওঠানামা ও বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় পোকামাকড়ের আক্রমণ গত দশ বছরের তুলনায় তিনগুন বেড়ে গিয়েছে । এতে ফের দুশ্চিন্তায় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ (Tea Industry faces major problem as natural disaster affects Tea gardens in Uttarbanga) ।
সামনে পুজো । করোনা-পরবর্তী সময়ে শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে । তাই তাঁদের পুজোর বোনাসও দিতে হবে । এদিকে, সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে চায়ের উৎপাদন প্রায় 40 শতাংশ কমে গিয়েছে । আর যেটুকু উৎপাদন হয়েছে, তার গুণগতমান ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও মিলছে না সঠিক দাম ৷ এই অবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া আরও কোনও রাস্তা দেখছেন না চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ।
উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড হল উত্তরের চা-শিল্প । এখানকার চা শুধু দেশেই নয়, পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও । এতে গোটা দেশে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজ্যের চা । উত্তরবঙ্গে ছোট-বড় মিলিয়ে 276টি চা বাগান রয়েছে । কিন্তু গত দু'মাসে তাপমাত্রা কখনও 40 ডিগ্রিতে উঠেছে, তো কখনও মেঘ, আবার অতিবৃষ্টি । টানা বৃষ্টিতে বাগানে জল জমে চা গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে । এই বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে সিঁদুরকুলো, লালবিছে বা রুপোর মতো পোকামাকড়েরও উপদ্রবও বেড়েছে ।
আরও পড়ুন: 5 বছর পর গঠিত টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলে নেই চা বাগানের প্রতিনিধি