ফুলেশ্বরী ও জোরাপানি নদী সংস্কার সেচ দফতরের শিলিগুড়ি, 17 জানুয়ারি: শহরের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত দুই নদী ফুলেশ্বরী ও জোরাপানিকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিল রাজ্যের সেচ দফতরের ৷ বুধবার শহরের দুই নদীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের সহযোগিতায় ওই নদী সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী ৷
এদিন প্রথমে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 36 ও 37 নম্বর ওয়ার্ডের ঘোঘোমালি জোরাপানি সেতু থেকে নদী পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী ও পৌরমিগমের আধিকারিকরা। তারপর সুভাষপল্লি ও ডাবগ্রামে ফুলেশ্বরী নদী পরিদর্শন করেন তাঁরা। কয়েক দশক ধরে ওই দুই নদীর চর দখল করে গড়ে উঠেছে বেআইনি নির্মাণ। ফলে এই নদী পরিণত হয়েছে নালায়। তাই নদীর হাল ফেরাতে সেচ দফতরের সহযোগিতা নিতে চলেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম। নদীর চর দখল মুক্ত করার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা ফেরাতে জেসিবি দিয়ে মাটি তোলা হবে। সেই মাটি ফেলা হবে শহরের নীচু জায়গায়। নদীর পাড়েরও সৌন্দর্যায়ন করা হবে।
এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "নদী দু’টির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেতুর উপর নেট লাগানো হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই নদী সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।" তাঁর কথার রেশ টেনেই মেয়র গৌতম দেব বলেন, "নদী চর দখল হয়ে গিয়েছে। নদী থেকে মাটি সরিয়ে তা অন্য জায়গায় ফেলা হবে। পৌরনিগমের অধীন গোটা নদীর হাল ফেরানো হবে। পরে পঞ্চনই ও সাহু নদীতেও এইভাবে কাজ করা হবে।"
শহরের মধ্যে দিয়ে ফুলেশ্বরী ও জোরাপানি নদী বয়ে যাওয়া এই দুই নদীকে শহরের ফুসফুস বলা হয় ৷ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এই দু’টি নদী দূষিত হয়ে গিয়েছে ৷ একে দূষণের শীর্ষে শহরের মহানন্দা নদী ৷ এবার এই নদীও সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় শহরবাসীরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ৷ এই দুই নদীকে বাঁচাতে শহরবাসী একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের ৷
আরও পড়ুন:
- দরজা আটকে যাওয়ায় শৌচালয়ে বসেই মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু বিমান-সফর যাত্রীর
- হাতে আর 6 দিন, মন্দিরের গর্ভগৃহে বেদীর আনুষ্ঠানিক পুজো অযোধ্যায়
- হাইকোর্টের ধমকে হুঁশ ফিরল, 24 ঘণ্টার মধ্যেই শেখ শাহজাহানের বাড়িতে বসল সিসিটিভি