দার্জিলিং, 11 জুন : লকডাউনের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই দার্জিলিঙের হোটেলগুলিতে চলছে সমস্যা । কর্মীদের বেতন ইশুতে চলছে টানাপোড়েন । যার জেরে জুলাই মাস থেকে হোটেল বন্ধ করার কথা বলেন হোটেল মালিকরা । এর বিরুদ্ধে সরব হন শ্রমিকরা । GNLF-র তরফে এর প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় । অবশেষে আসরে নামেন GTA চেয়ারম্যান অনিত থাপা । এরপর বৈঠক শেষে গতকাল কর্মীদের বেতন ইশুতে 11 জনের কমিটি গঠন হয় । এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চার ভাগে বেতন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে । বকেয়া বেতন 17 জুনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ।
আংশিক সমস্যা মিটল, চার দফায় হোটেল শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত দার্জিলিঙে - GNLF
বেতন ইশুতে মে'র মাঝামাঝিতেই শুরু হয়েছিল সমস্যা । পরে হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সোচ্চার হন শ্রমিকরা । মধ্যস্থতা করেন GTA-র চেয়ারম্যান অনিত থাপা । কথা হয়, বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে তৈরি হবে 11 জনের একটি কমিটি । সেই কমিটিই গতকাল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, শ্রমিকদের ধাপে ধাপে বেতন দেবে মালিকপক্ষ ।
গতকাল দার্জিলিংয়ের GTA-এর সদর দপ্তর লালকুঠিতে এই নিয়ে একটি বৈঠক হয় । বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব হোটেল কর্মীদের বেতন তিন হাজার টাকা তাঁদের পুরো বেতন দেওয়া হবে । যাঁদের বেতন দশ হাজার টাকার মধ্যে তাঁদের 50 শতাংশ বেতন এবং ন্যূনতম তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে । যাঁদের বেতন 10 থেকে 20 হাজারের মধ্যে তাঁদের 40 শতাংশ অথবা ন্যূনতম ছ'হাজার টাকা দেওয়া হবে । আবার যাঁদের বেতন 20 হাজারের বেশি তাঁদের 30 শতাংশ বেতন অথবা ন্যূনতম সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়া হবে । লকডাউনের জেরে পুরোপুরি বন্ধ হোটেল ব্যবসা । আয় নেই হোটেল মালিকদের । কিন্তু কর্মীদের বেতন না দিলে তাঁদের সংসার চলবে কী করে ? এই মানবিক দিকটিকে সামনে রেখে এবং হোটেল শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।
মে মাসের মাঝামাঝিতে বেতন ইশুতে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সমস্যা শুরু হয় । বেতন দেওয়া বন্ধ করে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন হোটেল মালিক সংগঠনগুলি । এরপরেই মধ্যস্থতা করেন GTA চেয়ারম্যান অনিত থাপা । পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হোটেল মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে দু'দিন আগে বৈঠক করেন তিনি । তাতেই বরফ কিছুটা গলে । সেই বৈঠকের অঙ্গ হিসেবে হোটেল শ্রমিকদের বেতন ইশু নিয়ে গঠিত 11 সদস্যের কমিটি গতকাল বৈঠক করে । যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নির্ধারিত ওই বেতন মে মাস পর্যন্ত 17 জুনের মধ্যে এবং জুন মাসের বেতন 7 জুলাইয়ের মধ্যে কর্মীদের মিটিয়ে দিতে হবে । পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে জুলাই মাসের বেতনের বিষয়টি ঠিক করা হবে । এই কমিটি 8 জুলাই পরবর্তী বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে ।