দার্জিলিং, 9 নভেম্বর: শৈলশহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আগুনে পুড়ে খাক হল দু'টি আস্ত হোটেল। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দার্জিলিংয়ে। পর্যটকে ঠাসা ওই হোটেল দু'টিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটন মহলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার টুংসুং এলাকার রকভিল এলাকার দু'টি হোটেলে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে টুংসুং এলাকার একটি হোটেলের তৃতীয় তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন হোটেলের কর্মীরা।
সঙ্গে সঙ্গে গোটা হোটেলে পর্যটকদের বাইরে বের করে নেওয়া হয়। এদিকে, নিমেষের মধ্যে আগুন পাশের আরেকটি হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ছড়িয়ে যায়। পরে ওই হোটেলের পর্যটকদেরও বাইরে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। দেখতে দেখতে আগুন গোটা হোটেলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন তীব্র হওয়ায় তারা বিফলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। তবে দার্জিলিং থেকে দমকল পৌঁছতে বেশ সময় লেগে যায়।
ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হোটেল দু'টি। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে অন্তত দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে হোটেলেও পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না-থাকার অভিযোগ উঠেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, রুম হিটারের শর্ট সার্কিট থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। দমকল আধিকারিক তরুণ কুমার কোণার বলেন, "দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে কী থেকে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে।"
এদিন চলন্ত অবস্থাতেই দিল্লি-গুরুগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবোঝাই একটি স্লিপার বাসে আগুন ধরে যায়। আর তাতেই ঝলসে মৃত্যু হয় দুই যাত্রীর। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও 12 জন। আতঙ্কিত যাত্রীদের অনেকেই বাসের জানলা দিয়ে লাফ মারেন। বাসের ভিতরে মহিলা এবং শিশু-সহ বেশ কয়েক জন আটকে পড়েছিলেন।
|