দার্জিলিং, 4 জুলাই: বিমান থেকে নামতেই অসুস্থতা বোধ। বিমানবন্দরে ঢুকতেই অচৈতন্য হয়ে পরেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন চিকিৎসক । হাসপাতালে নিয়ে গেলে ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক । মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
পুলিশ ও বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন সরকার। তাঁর বয়স 62 বছর। তিনি মালদার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরত আসেন নিরঞ্জন বাবু। বিমান থেকে নামতেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি।
এরপরে বিমানবন্দরেই হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের চিকিৎসকরা। নিরঞ্জন বাবুর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন উপস্থিত চিকিৎসকরা। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রবীণ ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর মহম্মদ আরিজ বলেন, "এক ব্যক্তি বেঙ্গালুরু ফেরত বিমানে বাগডোগরায় আসেন। বিমানবন্দরে অসুস্থতা বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে রেফার করা হয়।"
তবে এই দিনের ঘটনার পরেই বিমানে এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদি ওই ব্যক্তি বিমানে অসুস্থতা বোধ করে থাকেন, তবে কেন বিমানের ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট বা সেবিকা ওই যাত্রীর সহায়তায় এগিয়ে আসলেন না, প্রশ্ন উঠেছে। যদি বিমানবন্দরেও ওই যাত্রী অসুস্থতা বোধ করে থাকেন, তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে কেন চিকিৎসা করা হল না, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।
আরও পড়ুন:সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য 6 জুলাই থেকে বন্ধ থাকবে দোকান
প্রসঙ্গত, যাত্রী সুরক্ষায় বিমানবন্দরে একজন চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী-সহ জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার সামগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। এমতাবস্থায় কেন ওই যাত্রীকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করে সাহায্য করা হল না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা । অন্যদিকে, বুধবার ওই ব্যক্তির দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।