দার্জিলিং, 22 ফেব্রুয়ারি: বনধ না-হলেও কি পাহাড়ে ক্ষমতা হারিয়েছেন অজয়, বিমল আর বিনয়রা? পাহাড়বাসীর সমর্থন কি নেই তাঁদের সঙ্গে? এই জন্যই কি বনধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল বিরোধীরা ৷ এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভায় আনা বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আচমকায় আগামিকাল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনেই বনধ ডেকে বসে জিটিএ'র বিরোধী দল হামরো পার্টি-সহ বিনয় তামাং ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারপর শিলিগুড়ি থেকে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বনধ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি (Mamata Banerjee Warning) অন্যদিকে, জিএনএলএফ ও বিজেপির মতো জোট সঙ্গীদের নিয়ে বনধের অবস্থান থেকে সরে আসা। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়ে যান অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাং (Binay Tamang and Ajoy Edwards Fell into Trouble)।
তার উপর বনধের বিরোধিতা করার কথা সাফ জানিয়ে দেয় মিরিক, কার্শিয়াং, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের গাড়ি চালক সংগঠন। হাত তুলে নেয় হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। শেষমেশ নতিস্বীকার করে বনধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অজয় ও বিনয়রা। তবে 2017 সালের পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে 103 দিনের বনধ প্রত্যক্ষ করার পর পাহাড়বাসী নিজেরাই এখন বনধের চরম বিরোধী। পাহাড়ে কোনওভাবেই আর বনধের রাজনীতি চান না তাঁরা। জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, "এখন পাহাড়বাসীরাই বনধ চান না। এখন আমি বনধ ডাকলেও পাহাড়ে বনধ হবে না। আর ওদের তো মানুষের সমর্থনই নেই। কীভাবে বনধ করবে? সবটাই স্টান্ট।" পালটা বিনয় তামাংদের একহাত নিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।