শিলিগুড়ি, 20 সেপ্টেম্বর: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অশোক ভট্টাচার্য ৷ দু’জনের মধ্যে কোনওদিনই স্বার্থের সম্পর্ক ছিল না ৷ যেটা ছিল, তা হল অত্যন্ত আত্মিক এবং পারিবারিক ৷ এককথায় স্নেহের সম্পর্ক ৷ কিন্তু, সেই স্নেহের সৌরভকে নিয়েই একরাশ অভিমান 74’র অশোক ভট্টাচার্যের মধ্যে ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেরিয়ে এল সেই ‘অভিমান’ ৷ জানালেন, বর্তমানে তাঁর খোঁজও নেন না সৌরভ ৷ বলেই ফেললেন, ‘‘আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় দেখা করতে আসার কথা ছিল ৷ কিন্তু, আসেনি ৷ এমনকী ফোনও করেনি ৷’’
যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি চিনতেন, আর আজকের সৌরভের মধ্যে বিস্তর ফারাক পান তিনি ৷ একটা সময় সুযোগ পেলেই শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে দেখা করতে যেতেন ৷ অশোকবাবুর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্যের হাতের রান্না খেয়ে গিয়েছেন 'প্রিন্স অফ ক্যালকাটা' ৷ এমনকী সেই রান্নার প্রশংসাও করেছিলেন জনসমক্ষে ৷ কিন্তু, এখন অশোক ভট্টাচার্যের খোঁজও নেন না সৌরভ ৷ এমনটাই দাবি বর্ষীয়ান বাম নেতার ৷
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিমুখ হলেও, তিনি কোনওদিন হবেন না ৷ তাই বলেই ফেললেন, ‘‘আমি সৌরভের সারাজীবন শুভাকাঙ্খী ও সমর্থক থাকব ৷ সৌরভের খারাপ সময়ে আমি আর বুদ্ধবাবু (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) পাশে ছিলাম ৷ ওকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পর আমরা জনমত গড়ে তুলেছিলাম ৷ ও দেশের গর্ব ৷’’
সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মাদ্রিদে গিয়ে শালবনীতে ইস্পাত কারখানায় বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাণিজ্যিক সফরে সঙ্গী হয়েছেন সৌরভ ৷ সেখানেই জানিয়েছেন, দুর্গাপুর এবং পটনার পর তাঁর তৃতীয় ইস্পাত কারখানা হবে শালবনীতে ৷ কিন্তু, বিদেশের মাটি দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা কেন ? প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ৷ জানালেন, সৌরভের এই ঘোষণা করাটা তাঁর পছন্দ হয়নি ৷