প্রশাসনের তৈরি সোশাল ডিসটেন্স মার্কেটে মানা হচ্ছে না বিধিনিষেধ - বংশীহারী
প্রশাসনের তৈরি করা সোশাল ডিসটেন্স মার্কেট । কিন্তু এই বাজারে কোরোনা সংক্রমণ রোধে বিধি নিষেধ মানা হচ্ছে না । বিভিন্ন দোকানদাররা কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাক্স ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।
বংশীহারী, ২৮ মার্চ : বুনিয়াদপুর হাটখোলায় বাজার বেশ পুরানো । কিন্তু এই বাজারে দোকানদাররা জায়গা কম থাকার জন্য পাশাপাশি বসে । কোরোনা ভাইরাস -এর জন্য বুনিয়াদপুর পৌরসভা এবং মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বাজারকে বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে সরানো হয় । এবং প্রশাসন তার নাম দিল সোশাল ডিসটেন্স মার্কেট । কিন্তু এই বাজারে কোরোনা সংক্রমণ রোধে বিধি নিষেধ মানা হচ্ছে না । বিভিন্ন দোকানদাররা কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাক্স ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ।
বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠ এলাকায় দোকানদাররা ৫ ফুট দূরে দূরে গিয়ে বসছেন । প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান থেকে দূরে চুন দিয়ে দাগ করে দিয়েছে এবং সেখান থেকেই ক্রেতাদের সবজি কিনতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানদারদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে । এই ফুটবল মাঠে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টা দোকান বসে আছে কিন্তু কোনও কোনও দোকানদার কোরোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাক্স ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ দোকানদারেরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ । তাই স্থানীয়রা চাইছেন পৌরসভা থেকে যদি কোনও মাস্ক এর ব্যবস্থা করে তাহলে কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারে এই দোকানদারেরা ।
এই বিষয়ে শুভদীপ তালুকদার নামে এক বাসিন্দা জানান, পীড়তলা বাজারকে বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে । বুনিয়াদপুর পৌরসভা বাজার যখন স্থানান্তরিত করা হয় সে সময় বলে দেওয়া উচিত ছিল সবাই যেন মাস্ক ব্যবহার করে । বাজারে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক নেই । অন্ততপক্ষে রুমালটা যেন তারা যেন বাঁধে এই অনুরোধ । বুনিয়াদপুর পৌরসভা সম্পূর্ণ গাফিলতির কারণেই বিভিন্ন দোকানদারেরা মাস্ক ব্যবহার করছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল মন্ডল জানান," বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে সোশাল ডিসটেন্স মার্কেট করা হয়েছে । সরকার থেকে বলা হয়েছে প্রতিটা মানুষকে দূরে দূরে থাকতে হবে এবং সেই জন্যই এই হাটখোলা বাজারকে বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে । বাজারে মাস্ক পরে আসতে বলেছি কিন্তু বাজারে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না আমরা খোঁজ করছি কারা মাস্ক বানায় এবং সেই সমস্ত সংগ্রহ করে বাজারের বিভিন্ন দোকানদারদেরকে দেবার চেষ্টা করছি ।"