গঙ্গারামপুর , 9 অগাস্ট : পণের দাবিতে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ডালপাড়া এলাকার ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবতির নাম রিনা বিবি (20) । বাড়ি তপন থানার মরাকুরি গ্রামে ৷ দেড় বছর আগে বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফিরোজ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় রিনার ৷ বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, তাঁদের পণের দাবি নেই ৷ কিন্তু বিয়ের দু'মাসের মধ্যেই স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনার উপর অত্যাচার করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ৷ গ্রামে এনিয়ে সালিশি সভাও বসে ৷
আরও পড়ুন :পণে মেলেনি টিভি, রাগে যুবতিকে খুন !
এক সপ্তাহ আগে রিনা বিবির বাবার বাড়ির লোকজন দু'ভরি সোনা দিয়ে আসে রিনার শ্বশুড়বাড়িতে । অভিযোগ, এরপরও থেমে থাকেনি অত্যাচার ৷ ফিরোজ রিনাকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আরও চার লাখ টাকা আনার জন্য বলে । এই নিয়ে গতকাল সকালে স্বামী স্ত্রী'র বিবাদ চরমে ওঠে । অভিযোগ, এরপরই সকালবেলা বালিশ চাপা দিয়ে স্বামী ফিরোজসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনাকে খুন করে ৷ স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে রিনার শ্বশুরবাড়ি আসে তাঁর বাবার বাড়ির লোকজন ৷ তাঁরা রিনাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে ডাক্তার রিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
এই বিষয়ে রিনার কাকা সিদ্দিক মিঞা বলেন, "আমরা সকালবেলা খবর পাই রিনাকে মেরে ফেলে বারান্দায় শুয়ে রেখেছে ৷ বাড়িতে কেউ নেই ৷ এলাকার লোকজনের কাছে খবর পেলাম কয়েকদিন থেকে ওরা অত্যাচার করছে পণের দাবিতে । বিয়ের সময় কোনও পণ না নিলেও, কয়েকদিন আগে যৌতুক বাবদ টাকা নিয়েছে । গত দু'দিন আগে দুই ভরি সোনাও দেওয়া হয়েছে ৷ এরপরও ওর স্বামী ফিরোজ জমি কিনবে বলে রিনাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে ৷ আজ সকালে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ চরমে ওঠে । সকালবেলা বালিশ চাপা দিয়ে ফিরোজসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রিনাকে মেরে বাড়ির বারান্দায় দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ৷ আমরা স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শাস্তি চাই । "
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিপুল ব্যানার্জি জানান, গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । ময়নাতদন্তের জন্য দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।