বালুরঘাট, 9 মার্চ : অন্য বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই ফিকে বালুরঘাটের দোল উৎসব । একদিকে কোরোনা ভাইরাস আতঙ্ক, অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় মাইক বাজানোর অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন । শহরের সেভাবে দোল উৎসবের উদযাপন চোখে পড়েনি ৷
তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা শহর । বাইরে বেরোলেই রং দিয়ে দিতে পারে এই আতঙ্কও নেই এবার । কারণ পাড়ার অলিতেগলিতে কচিকাঁচাদের যে ভিড় প্রতিবার দেখা যায এবার তা যায়নি । সকাল থেকে রঙের বালতি নিয়ে অপেক্ষা করলেও খেলার সঙ্গী মেলেনি অনেকেরই । পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন বেরিয়ে আসে । আবির খেলে । তবুও সকলে কোথাও যেন আতঙ্কিত । কে কেমন ব্যবহার করছে তা বোঝা মুশকিল ।
বালুরঘাট শহরে দোল উৎসবকে ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সজাগ পুলিশ প্রশাসন । শহরের মোড়ে মোড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । মহিলা পুলিশ কর্মীরা বাইকে টহল দিচ্ছে শহরজুড়ে ।
অন্যবার বালুরঘাট শহরের হাই স্কুল মাঠ, রথতলা, চকভবানী কালীবাড়ি, অভিযাত্রী মাঠ বালুরঘাট টাউন ক্লাব সংলগ্ন এলাকাতে শহরের বিভিন্ন সংস্থাগুলি দোল উৎসবের আয়োজন করে। তবে এবার কোরোনা আতঙ্কের জন্য অনেকেই আবির খেলা থেকে বিরত ছিলেন । অন্যদিকে আগামী 12 মার্চ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা । তার আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবারের দোল উৎসবে কোনও রকম মাইক ব্যবহার করা যাবে না । এতেই বিভিন্ন নাট্য সংস্থাগুলি কোনওমতে অনুষ্ঠান সেরেছেন । সকাল থেকে সেভাবে চোখেও পড়েনি দোল উৎসব নিয়ে উন্মাদনা ।
এবিষয়ে অমৃতা দাস নামে এক মহিলা জানান, আমরা যে আবিরগুলো খেলছি সেটা যেন দেশীয় হয় সেটার দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে । আর এবার দোল উৎসবে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হয়নি । আগের বছরের তুলনায় এবার লোক অনেক কম । তবে এই আনন্দটা তারা কোনওভাবেই মিস করতে চাননি, তাই সবকিছুর পরও দোল উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন । অন্যদিকে, নৃত্য সংস্থা হৃদকমলের পক্ষ থেকে অ্যানি দত্ত জানান, কোরোনা ভাইরাস যেভাবে চিনে মহামারির আকার ধারণ করেছে, সেই জায়গা থেকে সকলকে সতর্ক থাকা দরকার । বছরে তো একটাই দিন । আর একটা দিন রং না খেললে হয় নাকি । তবে সতর্কতা বজায় রেখেই রং খেলা হয়েছে ৷
অন্যবারের তুলনায় ফিকে বালুরঘাটের দোল