বালুরঘাট, 24 অগাস্ট : কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে স্যানিটাইজ়েশন টানেল । সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও এর চাহিদা রয়েছে । সাধারণত এই টানেলগুলি তৈরিতে প্রায় 40 হাজার টাকারও বেশি খরচ হয় । কিন্তু 12 হাজারেই স্যানিটাইজ়েশন টানেল তৈরি করলেন বালুরঘাটের তিন যুবক । অরিন্দম ভৌমিক, শুভজিৎ ভৌমিক ও সপ্তর্ষি ভৌমিক । পরীক্ষামূলকভাবে এই টানেল নিজেদের বাড়িতেই ব্যবহার করছেন তাঁরা । খুব কম খরচে স্যানিটাইজ়েশন ট্যানেল তৈরি হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকেই মিলছে অর্ডার ।
যত দিন যাচ্ছে ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি । দক্ষিণ দিনাজপুরেও কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । এই অবস্থায় কোরোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসের সামনে বসানো হচ্ছে স্যানিটাইজ়েশন টানেল । অফিসের ভেতরে ঢোকার আগে টানেলের ভিতর দিয়েই প্রবেশ করতে হচ্ছে কর্মীদের । স্যানিটাইজ়েশন টানেল বসাতে খরচ পড়ছে 40 থেকে 50 হাজার টাকা । জামাকাপড় থেকে জীবাণুমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে । বালুরঘাটে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্বাস্থ্যবিভাগের প্রধান অফিসে এইরকম স্যানিটাইজ়েশন টানেল বসানো হয়েছে । সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানেও বর্তমানে এই স্যানিটাইজ়েশন টানেলের চাহিদা বাড়ছে । তবে বিভিন্ন কম্পানির তৈরি স্যানিটাইজ়েশন টানেলের দাম অনেকটাই ।
ঠিক এমন সময়েই স্যানিটাইজ়েশন টানেল তৈরি করেন বালুরঘাট পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের অরিন্দম, শুভজিৎ ও সপ্তর্ষি । সম্পর্কে তাঁরা তিন ভাই । কেউ পড়াশোনা করছেন । কেউ শিক্ষকতা করেন । অন্য একজন ফোটোগ্রাফি করেন । বাবা পেশায় পুলিশকর্মী । বর্তমানে রাজগঞ্জে কর্মরত । সোশাল মিডিয়ায় এই টানেলের ব্যবহার দেখার পরই তাঁরাও স্যানিটাইজ়েশন টানেল তৈরি করার পরিকল্পনা করেন । বেশ কয়েকটি সামগ্রী বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন দোকান থেকে জোগাড় করে ফেলেন । কয়েকটি জিনিস অনলাইনে কেনেন । সব কেনার পর মাত্র তিনদিনের মধ্যেই তৈরি করে ফেলেন স্যানিটাইজ়েশন টানেল । তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় 12 হাজার টাকা । টানেলে সেনসর রয়েছে । তাই টানেলটি স্বয়ংক্রিয় । এত কম দামে স্যানিটাইজ়েশন টানেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ।