কাকদ্বীপ, 26 ফেব্রুয়ারি : রাতে বন্ধুর বাড়িতে আসতে দেখেছিলেন প্রতিবেশীর । এর আগেও বেশ কয়েকবার তাকে ওই বাড়িত দেখা গিয়েছে । তাই কারও মনে কোনও ভাবনা আসেনি । কিন্তু সকালবেলা রাস্তার পাশে যুবকের দেহ উদ্ধার হতেই কেমন যেন রহস্যের গন্ধ । দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই । তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুব সম্ভবত বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে যুবককে। কাকদ্বীপের গাববাটি এলাকায় বছর বত্রিশের শিবপ্রসাদের মৃত্যুর পিছনে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের গল্পই সামনে আসছে।
বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, কাকদ্বীপে রহস্যমৃত্যু যুবকের - youth murder
কাকদ্বীপে যুবকের রহস্যমৃত্যু । মৃতের নাম শিব প্রসাদ । বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, বছর দুয়েক আগে গাববাটির বাসিন্দা স্বপন সর্দারের সঙ্গে কাজের সূত্রে আলাপ হয় ঘাটবকুলতলার শিব প্রসাদের । সেই সময় থেকেই বন্ধুর বাড়িতে নিত্য যাতায়াত করত শিব প্রসাদ। আলাপ হয় স্বপনের স্ত্রী শিবানির সঙ্গে । আলাপ থেকে বন্ধুত্ব । ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু'জনের । বাড়তে থাক যাতায়াত । মাস দুয়েক আগে সেই সম্পর্কের কথা জেনে যায় স্বপন। শুরু হয় ঝামেলা। শিবানিকে বহুবার বারণ করেও খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি স্বপন। শেষমেশ নতুন করে সংসার করার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় শিবপ্রসাদ ও শিবানি। কিন্তু কয়েকদিন পর তারা আবার নিজেদের বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু এত কিছুর পরও সম্পর্কে ছেদ পড়েনি । এরপরও ফোনে যোগাযোগ রাখত দু'জনে । বন্ধু স্বপন বাড়িতে না থাকলে শিবানির কাছে যেত শিব প্রসাদ । রবিবার রাতেও স্বপন কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর শিব প্রসাদকে বাড়িত ডাকে শিবানি। পরদিন সকালে পাশের রাস্তার উপর শিব প্রসাদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা । তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে । মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । শিব প্রসাদের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাদের ছেলেকে । অভিযোগ দায়ের হয়েছে ঢোলাঘাট থানায়।
এটি নিছকই আত্মহত্যা না কি বাড়িতে ডেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হল শিব প্রসাদকে ? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।