জয়নগর, 21 সেপ্টেম্বর:চাঁদের মাটিতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ভারত ৷ চন্দ্রযান-3 এর সফল অভিযান ইসরোর মুকুটে যোগ করেছে নয়া পালক । মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর অভূতপূর্ব এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সারাদেশ-সহ বাংলার মানুষ ৷ আর এই চন্দ্রাভিযান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনব উদ্যোগ নিল জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার একটি স্কুল ৷ শ্রীকৃষ্ণ প্রাথমিক অবৈতনিক বিদ্যালয়ের ছাদে বসানো হল টেলিস্কোপ । শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়, শৈশব থেকেই মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ-নক্ষত্রের প্রতি শিশুদের আগ্রহ তৈরি করতে এবং ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়াতে এই নতুন পদক্ষেপ নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷
প্রাথমিক স্কুলের ছাদে বসল টেলিস্কোপ
জানা গিয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগেই এই টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে স্কুলে । যার মাধ্যমে পড়ুয়ারা নজর রাখতে রাখছে মহাকাশে । টেলিস্কোপে চোখ রেখে পরিচয় করছে শনি, মঙ্গল থেকে চাঁদের সঙ্গে ৷ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, "মহাকাশ নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির একটি অধ্যায় রয়েছে । পড়ানোর সময় আমরা দেখেছি যে পড়ুয়ারা শুধু জানছে, কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছে না । তাদের আকাশ চেনাতে পাড়ছি না ৷ তাই শিক্ষকদের উদ্যোগে বৃহস্পতি, মঙ্গল, শনিকে চেনানোর জন্য আমরা বিদ্যালয়ের একটি টেলিস্কোপের ব্যবস্থা করেছি । এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে পড়ুয়ারা বিভিন্ন গ্রহকে তাদের নিজে চোখে দেখতে পাচ্ছে । এর ফলে পড়াশোনার মান আরও উন্নত হচ্ছে । নিজের চোখে দেখলে অধ্যায় অতি সহজে নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারবে পড়ুয়ারা ।"
টেলিস্কোপে রাতের আকাশে চাঁদ তারা দেখছে পড়ুয়ারা
বিদেশের বিভিন্ন স্কুলে মহাকাশ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে টেলিস্কোপের ব্যবস্থা রয়েছে । জয়নগরের প্রান্তিক স্কুলে এই উদ্যোগ প্রথম ও অভিনব ৷ ইতিমধ্যে একদিন রাতে পড়ুয়াদের স্কুলে ডেকে চাঁদ তারা দেখানো হয়েছে ৷ তবে একটিমাত্র টেলিস্কোপ ৷ তাই একবারে এত পড়ুয়াদের একসঙ্গে একটি গ্রহ দেখানো সম্ভব হয়েছে ৷ পরে আরও কিছু গ্রহ ও উপগ্রহকে দেখানো হবে ৷ এর জন্য পড়ুয়াদের আবারও রাতে স্কুলে ডাকা হবে বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ৷ তাদের সঙ্গে শিক্ষকরাও উপস্থিত থাকবেন স্কুলে ৷ দীপঙ্কর মণ্ডলের কথায়, "শিক্ষকদের ইচ্ছে থাকলে সবকিছু সম্ভব হয় ৷"