সকাল থেকে ফুঁসছে সমুদ্র, বকখালির উপকূলবর্তী এলাকা খালি করতে তৎপর প্রশাসন

আজ সকাল থেকে বকখালিতে সমুদ্র নিজের রূপ বদলালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী । পাশাপাশি তৎপর হয় প্রশাসনও । আসরে নেমে খালি করতে শুরু করে বকখালির উপকূলবর্তী এলাকা ।

বকখালি, 20 মে : আমফানে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গত দু'দিন ধরে বকখালির উপকূলবর্তী এলাকা খালি করার জন্য মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছিল । প্রাথমিকভাবে নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা ছেড়ে যেতে অনেকেই রাজি হচ্ছিলেন না । কিন্তু আজ সকাল থেকে সমুদ্র নিজের রূপ বদলালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা । পাশাপাশি তৎপর হয় প্রশাসনও । আসরে নেমে খালি করতে শুরু করে বকখালির উপকূলবর্তী এলাকা ।

আজ বিকেলের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন আমফান । তার জেরে দু'দিন আগে থেকেই আবহাওয়া অফিসের তরফে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে । সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলি খালি করতে বলা হয়েছে । মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । আবহাওয়া অফিসের এই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর থেকেই বকখালির উপকূলবর্তী এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য মাইকে প্রচার করছিল প্রশাসন । কিন্তু তারপরও ঘরবাড়ি ও ব্যবসা ছেড়ে অনেকেই যেতে রাজি ছিলেন না ।

আজ সকাল থেকে হঠৎ সমুদ্র নিজের রূপ বদলাতে শুরু করে । যে বকখালির জল তীরের এক থেকে দু-কিলোমিটার দূরে থাকত তা সময় যত কাটছে এগিয়ে আসছে । আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বকখালির উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । সমুদ্রের এই রূপ দেখে তৎপর হয়েছে প্রশাসনও । তাই আজ সকাল থেকেই প্রশাসনের কর্মীরা উপকূলবর্তী এলাকার প্রতিটি বাড়ি ও দোকানে গিয়ে তদারকি করছেন । অনেককেই ত্রাণ শিবিরে পাঠিয়েছেন।

আবহাওয়া অফিসের তরফে আগেই সতর্ক করা হয়েছে । জানানো হয়েছে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে আমফান । উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় আমফানের শক্তি খানিকটা কমলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না । তাই যাতে কারও প্রাণহানি না হয় তা নিশ্চিত করতে অতি তৎপর দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ।