দক্ষিণ 24 পরগনা, ৮ জুন: ঘূর্ণিঝড় যশে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা । সুন্দরবনের একাধিক নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক চাষের জমি । তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে মাটির ঘর । নোনা জলে সবকিছু ভেসে গিয়েছে । সর্বস্ব হারিয়ে এখনও বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে কয়েকশো পরিবার । ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যে দিয়ে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে । কিন্তু সুন্দরবনের বাসিন্দাদের মধ্যে সেই আতঙ্ক এখনও কাটেনি । আগামী ১১ জুন ভরা কোটাল সঙ্গে সূর্যগ্রহণ দোসর হয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছে বর্ষা । নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ 24 পরগনা সহ রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
কিন্তু সুন্দরবনের মানুষ এখনই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন । ২৬ মের সেই দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের । সুন্দরবনের বাসিন্দারা দেখেছিলেন, কীভাবে নদীগুলি রুদ্ররূপ ধারণ করে একের পর এক নদীবাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যায় । নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হলে সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় মাটির বাঁধ রয়েছে । সেগুলি থেকে মাটি ধুয়ে যেতে শুরু করবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা । সঙ্গে সূর্যগ্রহণ ও ভরা কোটালের জেরে নদীগুলিতে আবারও জলস্ফীতি দেখা দেবে ৷ তার জেরে সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ আবারও ভাঙবে । যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে সেটুকুও ধুয়েমুছে নিয়ে যাবে নদী।