কুলপি (দক্ষিণ 24 পরগনা), 30 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে মৃৎশিল্প । দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার কুলপি থানা এলাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে প্রায় 100 টি পরিবার । রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম কষ্টে রয়েছেন এই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি ।
লকডাউনে ক্ষতির মুখে মৃৎশিল্প, দুর্দশায় দিন কাটছে শিল্পীদের
লকাডাউনে চরম অসুবিধায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা । জমানো পুঁজি দিয়ে কাঁচামাল কিনে মাটির সামগ্রী তৈরি করেছিলেন । কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় এবার বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
কুলপি থানার অন্তর্গত বাগারিয়া চণ্ডীপুর উত্তর গ্রাম । লকডাউনের জেরে এই গ্রামের মৃৎশিল্পীদের জিনিসপত্র বাইরে বিক্রির জন্য যাচ্ছে না । তাই তাঁদের অর্থাভাব দেখা দিয়েছে । কারো স্বামী তিন বছর আগে মারা গেছেন, আবার কারো স্বামী পাঁচ বছর আগে । এইসব মহিলারা মৃৎশিল্পের কাজ করে নিজেদের জীবন-জীবিকা গড়ে তুলেছিলেন । কিন্তু টানা লকডাউনের জেরে তাঁদের তৈরি মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি হচ্ছে না । তাই তাঁরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । এখনও কোনও রকম সরকারি সাহায্য পাননি বলে তাঁদের অভিযোগ । একদিকে মাটির দেওয়াল খসে পড়ছে, অন্যদিকে ঘরের চালের অবস্থা জরাজীর্ণ । সারাবছর মাটির তৈরি জিনিস বিক্রি করে সংসারের সবার পেটের ভাত জোটে এই মৃৎশিল্পীদের । তাই সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থা খুব শোচনীয় ।
চৈত্রের শেষে শিবের গাজন হোক বা কালীপুজো, এই সময় অনেক মাটির তৈরি সামগ্রী বিক্রি হয় । সেই বাজার ধরতে আগে থেকেই বহু মাটির তৈরি সামগ্রী তৈরি করেছিলেন মৃৎশিল্পীরা । কিন্তু লকডাউনের ফলে সমস্ত পুজো-পার্বণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । জমানো পুঁজি দিয়ে কাঁচামাল কিনে মাটির সামগ্রী তৈরি করেছিলেন । কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় এবার বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সেইভাবে তাঁদের পাশে কেউ দাঁড়াননি বলে অভিযোগ ওই মৃৎশিল্পীদের।