কাকদ্বীপ, 3 সেপ্টেম্বর: নাব্যতা হারাচ্ছে কাকদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মাঝে বয়ে যাওয়া মুড়িগঙ্গা ৷ যেটি গিয়ে মিশেছে হুগলি নদীতে ৷ অভিযোগ এই মুড়িগঙ্গা নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে যাওয়ায় প্রতিদিন ভাটার সময় প্রায় 6 ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি পরিষেবা ৷ প্রতিনিয়ত এই সমস্যার জেরে ক্ষোভ জমেছে দ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে ৷ কেবলমাত্র জোয়ারের সময় ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে ৷ আর ভাটার সময় নদী পারাপারের জন্য ছোটো ডিঙি নৌকো বা ভুটভুটির উপর ভরসা করতে হয় নিত্যযাত্রীদের ৷ আর সেখানেও উঠেছে লুঠের অভিযোগ ৷
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজনকে মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ে নেমে পাড়ে যেতে হয় ৷ ফেরি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি জল কাদার উপর দিয়ে নদীর মাঝ বরাবর এক কোমর জলে নেমে ভুটভুটিতে উঠতে হয় ৷ পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর ডিঙি নৌকা চড়ায় আটকে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঝ নদীতে বসে থাকতে হয় মানুষকে ৷ এভাবেই প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের ৷
আবার এই আর ভেসেল বন্ধ থাকার কারণে সুযোগে লুঠ চালাচ্ছে ছোট নৌকাগুলি ৷ যেখানে কাকদ্বীপের লর্ড নম্বর 8 থেকে গঙ্গাসাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ভাড়া 9 টাকা ৷ সেই ভাড়া বেড়ে হয়ে যাচ্ছে মাথাপিছু 50 টাকা ৷ এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস বলেন, ‘‘মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই টাকা যাচ্ছে কোথায় ? যাত্রীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের পকেট ভরাচ্ছে ৷’’