পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই : সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার পশ্চিম দারোগাপুর ৷ মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে শুভজিৎকে নিয়ে সেখানেই মন্টু পুস্তির সংসার । যৎসামান্য রোজগারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় ৷ ছেলের চিকিৎসা করবেন কী করে ? চিকিৎসা নেই, তাই ছেলেও সেরেও ওঠেনি ৷ তবে বাবা-মায়ের আশা, এখনও কোনও মতে সাহায্য জোগাড় করে ছেলেটাকে যদি ডাক্তার দেখানো যায় তাহলে হয়তো তাকে সারিয়ে তোলা যাবে ৷ তাহলেই আর শিকল বেঁধে রাখতে হবে না ৷
মন্টু পেশায় রিকশাচালক ৷ কলকাতায় রিকশা চালাতেন । দেড় বছর বয়স থেকেই শুভজিতের মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ দেখা দেয় । প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রেই নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে অনটনের মধ্যে বড়সড় কোনও জায়গায় আর নিয়ে যেতে পারেননি মন্টু ৷
ছেলের অস্বাভাবিকত্ব বাড়তে থাকায় কলকাতায় রিকশা চালানোর কাজ ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন মন্টু । কারণ ছেলেকে একা তার মা সামলাতে পারেন না ৷ তাই এলাকাতেই কাজ খুঁজতে হয় মন্টুকে ৷ এখন মন্টু দিনমজুর ৷ সেখান থেকে যেটুকু উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় ৷ ছেলেকে বড়, ভাল কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো এবং চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না বাবা ৷ তাই মন্টু ও তাঁর স্ত্রী ভবানী সরকারি বা অন্য যেকোন রকমের সাহায্যে আশায় রয়েছেন ৷