ডায়মন্ড হারবার, 14 জুন : কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি । আর তাই ভোজনরসিক বাঙালির পাতে রুপোলি শস্য অর্থাৎ, ইলিশের জোগান দিতে আগামিকাল গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা ৷ 61 দিন পর মঙ্গলবার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠছে ৷ তাই শেষ বেলার প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা ।
দক্ষিণ 24 পরগনা মৎস্য বন্দরগুলিতে মৎস্যজীবীদের মধ্যে ব্যস্ততা তুঙ্গে । বিগত বছরগুলিতে তাঁরা তেমন একটা লাভের মুখ দেখেনি ৷ ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে প্রায় দু’মাস সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল তাঁদের ৷ আর রাজ্যে বর্ষা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই সেই নিষেধাজ্ঞাও উঠে গিয়েছে ৷ তাই এবার গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা ৷ তাঁদের আশা, এ বছর ইলিশ মাছের জোগান ভাল হতে পারে ৷ কারণ গত দু’বছর ইলিশ (Hilsa) মাছ খুব একটা বেশি জালে ওঠেনি ৷ এমনকি মোহনায় ইলিশের সংখ্যাও অনেক কম ছিল ৷ অন্যদিকে, এবার ঘূর্ণিঝড় যশের হাওয়ার গতি পূর্ব দিকে হওয়ায়, ওড়িশা উপকূলের দিকে ভাল ইলিশ (Hilsa) পাওয়া গেছে ৷ তাই আশা করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উপূকলেও ইলিশের দেখা পাওয়া যাবে ৷
তবে, করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষার দিকটিতেও নজর দিতে হচ্ছে প্রশাসনকে ৷ দক্ষিণ 24 পরগনা সহ মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান এ নিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা মৎস্যজীবীদের প্রায় সবাইকে করোনার ভ্যাকসিনেশন করিয়েছেন ৷ কয়েকজনের বাকি রয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই তাঁদেরও ভ্যাকসিনেশন হয়ে যাবে ৷ তবে, ট্রলার নিয়ে বেরনোর আগে সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক বলেও প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ মঙ্গলবার মাছ ধরতে সমুদ্রে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা ৷