মল্লিকপুর ও সোনারপুর, 24 জুন : লোকাল ট্রেন পুরোপুরি চালু করতে হবে ৷ এই দাবি ঘিরে আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সোনারপুর ও মল্লিকপুর স্টেশনে ৷ দুটি স্টেশনেই কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে ৷ উত্তেজিত যাত্রীরা মল্লিকপুর স্টেশনে ভাঙচুরও চালায় ৷
করোনার জেরে রাজ্যে কার্যত লকডাউন চলছে ৷ আর তার জেরে বন্ধ গণপরিবহণ । সাধারণ মানুষের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় গ্রাম ও শহরতলির হাজার হাজার মানুষের রুজি-রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে । তাই লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে গতকাল সোনারপুর স্টেশনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় । সরকারি-বেসরকারি অফিস চালুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার । কিন্তু বন্ধ গণপরিবহণ । রাস্তায় কোনও বাস নেই, নেই কোনও ট্যাক্সি । লোকাল ট্রেনও চলছে না । চলছে কেবল হাতে গোনা অ্যাপ-ক্যাব । যাও বা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে ৷ কলকাতার সঙ্গে জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় নেই । স্টাফ ট্রেনে হুড়মুড়িয়ে উঠতে গেলেও রেলপুলিশের সঙ্গে বচসা বাধছে । করুণ অবস্থা নিত্যযাত্রীদের । আর যারা দিন আনা, দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য, তাদের দুর্দশা বলার মতো নয় ।
ঘড়ির কাঁটায় তখন 7 টা । শিয়ালদা-ডায়মন্ডহারবার লোকাল সোনারপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়, তখন নিত্য যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করে । ট্রেনের সামনেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা । এক যাত্রী বলেন, “দিদির কাছে অনুরোধ ট্রেন চালালে সব চলুক, না হলে কোনও ট্রেনই চলবে না । কিছু লোক যেতে পারছেন, কিছু পারছেন না । এইভাবে পেটে কতদিন ভাত জোগাতে পারব৷” বুধবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয় সোনারপুর স্টেশনে । এদিনের বিক্ষোভের সামনের সারিতে ছিল মহিলারা । তাদের দাবি, “লোকাল ট্রেন চালাতে হলে প্রত্যেক ট্রেন চলুক । না হলে কোনও ট্রেনই চলবে না ।” এদিন প্রায় ঘণ্টা খানেক ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় যাত্রীরা । তাদের বক্তব্য, কাজে যেতে গেলে গাড়ি ভাড়া যা বেরিয়ে যাচ্ছে, তা রোজের টাকার দ্বিগুণ! এই পরিস্থিতিতে মানুষের নুন আনতে পানতা ফুরনোর অবস্থা ।