ভাঙড়, 2 মে : নাকা চেকিং চলাকালীন তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল ভাঙড় থানার ASI-র বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাট এলাকায় । আজ দুপুরে সেখানে ভাঙড় থানার ASI নিরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার নাকা চেকিং করছিলেন । চেকিংয়ের সময় গাড়ির চালকের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে । তখন বাসের এক যাত্রী পুরো বিষয়টির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন । বিষয়টি পুলিশের চোখে পড়লে ওই যাত্রীর ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয় ।
আজ দুপুরে ঘটকপুকুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে একটি সরকারি বাস আটকায় পুলিশ । চালকের কাছে বাসের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । এর জেরে বাসটি সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন । অলকেশ মণ্ডল নামে এক বাসযাত্রী পুলিশের কার্যকলাপের ভিডিয়ো ফোনে রেকর্ড করছিলেন। এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় ।
যে সিভিক ভলান্টিয়ার অলকেশের ফোনটি কেড়ে নেয় তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে । তার দাবি, অলকেশ তাকে আক্রমণ করেছিল । আক্রমণের কথা অস্বীকার করেন অলকেশ সহ বাকি যাত্রীরা । তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার জন্য অলকেশকে মারধরের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় । খবর পেয়ে এক সাংবাদিক সেখানে পৌঁছালে ওই ASI ও সিভিক ভলান্টিয়ার এলাকা ছাড়েন । এবিষয়ে, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, "বাসটি একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাচ্ছিল । তাই বাসটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ওই অফিসার । সেই সময় এক যাত্রী পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে জামিনে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয় । "
যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নাকা চেকিং-এর নামে পুলিশ ওই এলাকায় তোলাবাজি করছিল । সরকারি বাসটিকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । যাত্রীরা সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সরকারি বাসের চালকের কাছ থেকে এভাবে কাগজপত্র দেখা যায় কি না ? তখনই রেগে যায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ।