পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Body Recovered: যুবকের দেহ উদ্ধারে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা, মদ বিক্রির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেড় দিন নিখোঁজ থাকার পর এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার (Body Recovered) হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা ৷ তাঁদের দাবি, মদ খেয়ে বচসার জেরেই খুন হতে হয় রফিকুল মিঞাকে ৷ এরপর গ্রামে মদের বিক্রি বন্ধ করার দাবিতে পথে নামেন বাসিন্দারা ৷ কোচবিহারের ঘটনা ৷

residents agitating against alcohol selling after Youth Body Recovered in Cooch Behar
Body Recovered: যুবকের দেহ উদ্ধারে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা, মদ বিক্রির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

By

Published : Sep 18, 2022, 5:24 PM IST

কোচবিহার, 18 সেপ্টেম্বর: প্রায় দেড় দিন নিখোঁজ থাকার পর এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হল (Body Recovered) ৷ পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ রবিবার সকালের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার-2 ব্লকের খাপাইডাঙা এলাকায় ৷ মৃত যুবকের নাম রফিকুল মিঞা ৷ বয়স 28 বছর ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রফিকুল পুণ্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত এই খাপাইডাঙারই বাসিন্দা ছিলেন ৷ এলাকাবাসীর দাবি, গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি ৷ পরিবারের সদস্যরা নানা জায়গায় সন্ধান চালিয়েও রফিকুলের কোনও হদিশ পাননি ৷ কিন্তু, শনিবার ওই যুবকের রক্তমাখা শার্ট ও মোবাইল ফোনের কভার উদ্ধার হয় ! ঘটনাটি ঘটে খাপাইডাঙা বাজারে ৷ এই খবর চাউর হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ চাপের মুখে আসরে নামে পুলিশও ৷ শনিবার রাতেই সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে পুণ্ডিবাড়ি থানা ৷ তাঁদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে দাবি সূত্রের ৷ এরপর রবিবার সকালে খাপাইডাঙ্গা বাজার থেকে প্রায় 7 কিলোমিটার দূরে ঘরঘরিয়া নদী থেকে রফিকুল মিঞার দেহ উদ্ধার করা হয় ৷

আরও পড়ুন:ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রফিকুলের দেহটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়েছিল ৷ আর তা দেখেই এলাকাবাসীর অনুমান, ওই যুবককে কেউ বা কারা খুন করে নদীতে ফেলে দিয়ে গিয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও এমনটাই অনুমান ৷ খুনে জড়িত সন্দেহে অমল রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই রফিকুলকে খুন করা হতে পারে ৷ তবে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় ৷

এদিকে, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কোচবিহারের (Cooch Behar) ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) চন্দন দাস ৷ তিনি নিজেই তদন্তের কাজ খতিয়ে দেখেন ৷ পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই রফিকুলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷ তাতে তদন্তেরও সুবিধা হবে ৷ অন্যদিকে, পুলিশেরই একটি সূত্র বলছে, খুব সম্ভবত খুন হওয়ার সময় মদ্যপ ছিলেন রফিকুল ৷ সেই সময়েই অমলের সঙ্গে কোনও একটি লেনদেন নিয়ে তাঁর বচসা বাধে ৷ আর তার জেরেই খুন হতে হয় রফিকুলকে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি ৷

এদিকে আবার রফিকুলের দেহ উদ্ধারের পরই গ্রামে মদের বিক্রি বন্ধ করার দাবিতে পথে নামেন বাসিন্দারা ৷ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরনাও দেন তাঁরা ৷ তাঁদের সাফ কথা, যত নষ্টের গোড়া ওই মদ ৷ এর জন্যই রফিকুলকে অকালে চলে যেতে হল ! কোচবিহারের ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details