মাথাভাঙা, ২১ মার্চ : ভ্রুণ হত্যার চেষ্টায় স্ত্রীর পেটে লাথি সিভিক ভলান্টিয়রের। ঘটনাটি মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙা এলাকার। অভিযুক্ত উজ্জ্বল বর্মণের বিরুদ্ধে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী পম্পা। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভ্রূণ নষ্ট করতে স্ত্রীর পেটে লাথি, গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়র - harassment
স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে ভ্রুণ হত্য়ার চেষ্টায় গ্রেপ্তার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানার সিভিক ভলান্টিয়র। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটো শিমুলগুড়ি এলাকার পম্পার সাথে প্রায় চার মাস আগে প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপাড়ার উজ্জ্বল বর্মণের বিয়ে হয়। উজ্জ্বল বর্তমানে ঘোকসাডাঙা থানায় সিভিক ভলান্টিয়র পদে কর্মরত। পম্পার লিখিত অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন উজ্জ্বল। গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্টের দাবিতে চাপও দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় পেটে লাথি মেরে তা নষ্টের চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে পম্পা বলেন, "আমাকে সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিত। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় সোমবার রাতে আমার তলপেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করার চেষ্টা করে। তারপর আমার গলা টিপে প্রাণে মারার চেষ্টা করে।" সোমবার খবর পেয়ে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই ঘোকসাডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করেন তাঁর বাবা। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।