পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আটকে জল প্রকল্পের কাজ, প্রাচীন পদ্ধতিতে জল পরিশোধ করে বেঁচে কোচবিহারের গ্রাম

দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে কোচবিহারের কুচলিবাড়ি এলাকার মানুষ ।

PANIOJAL SUNYOGRAM COOCHBEHAR
PANIOJAL SUNYOGRAM COOCHBEHAR

By

Published : Oct 21, 2020, 1:39 PM IST

কোচবিহার, 20 অক্টোবর : দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা । পানীয় জলের জন্য ভরসা কুয়ো অথবা নলকূপ । সেই নলকূপ থেকেও অধিকাংশ সময় অপরিষ্কার, আয়রনযুক্ত পানের অযোগ্য জল বেরোয় । তাই প্রাচীন পদ্ধতিতে মাটির হাঁড়িতে বালি, নুড়ি রেখে জল ফিল্টার করে বেঁচে রয়েছে গ্রামবাসীরা । ছবিটা কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 25 পয়েস্তি এলাকার । যেখানে প্রায় হাজার তিনেক মানুষের বাস ।

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 25 পয়েস্তী এলাকার বসাক পাড়া, রায় পাড়া এলাকায় প্রায় তিন হাজার মানুষ । এলাকায় প্রবীণরাও ছোটো থেকে পানীয় জলের সমস্যা দেখে আসছেন । গ্রামের নলকূপ বা কুয়োর জলে আয়রন থাকায় গ্রামবাসীরা সেই জল পান করতে পারেন না । বাধ্য হয়ে মাটির হাঁড়িতে জল পরিশোধ করে সেই জল পান করেন । এতেও বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমেনি । স্থানীয়দের অভিযোগ, কংগ্রেস-বামফ্রন্ট আমলে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । বর্তমান সরকারের আমলে জেলা পরিষদ দপ্তরের তরফে অত্যাধুনিক পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর প্রকল্প আসে ৷ জমি সংক্রান্ত এবং শাসক দলের নিজেদের মধ্যে বিতর্কের কারণে সেই প্রকল্পও আটকে রয়েছে ৷ যার জেরে দুশ্চিন্তায় গ্রামের 3 হাজার মানুষ ৷

প্রাচীন পদ্ধতিতে জল ফিল্টার করে বেঁচে কোচবিহারের গ্রাম
জানা গেছে, গ্রামের রজনী বসাক নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর জন্য জরিপ করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা । কিন্তু নির্ধারিত জমির কাগজ অন্য এক ব্যক্তির নামে থাকায় ট্যাঙ্ক অন্যত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেন জেলাপরিষদ সদস্যা ফুলতি রায় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা ৷ রজনী বসাকের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির পাশে ট্যাঙ্ক বসানোর সার্ভে হলেও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে । কারণ জেলা পরিষদ সদস্যা তার কাছে দুই লাখ টাকা চেয়েছিল । যা দিতে না পারায় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা পরিষদ সদস্যা ফুলতি রায় । তিনি বলেন, "জেলা পরিষদের তরফে ওই গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য প্রকল্প আসে । প্রথমে যে জমি সার্ভে করা হয় তা রজনী বসাক নিজের বলে দাবি করেন । পরে অন্য এক ব্যক্তি নিজেকে সেই জমির মালিক বলে দাবি করেন । এই পরিস্থিতিতে জমির উপযুক্ত কাগজ না থাকায় প্রজেক্টটি দুশো মিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাজ আটকানোর চেষ্টার করছেন রজনী বসাক নামে ওই ব্যক্তি ।"

পানীয় জলের সমস্যার জন্য কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 25 পয়েস্তী এলাকায় কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয় না । জানিয়েছেন আরতি বর্মন নামে গ্রামের এক মহিলা । সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় এলাকার মানুষ । জলের হাহাকার যেদিন মিটবে, সেইদিনটার অপেক্ষায় গ্রামের মানুষ ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details