কোচবিহার,17 জুন : প্রথা ভেঙে এবার ট্রাকে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন মদনমোহন। কোরোনা পরিস্থিতির জেরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। তবে ভক্তরা যাতে মদনমোহনের দর্শন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য তথা কোচবিহার সদরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, কোরোনা পরিস্থিতির জেরে ভিড় এড়াতে ট্রাকে করে মদনমোহন যাবেন মাসির বাড়িতে।
এবার রথ নয়, ট্রাকে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন মদনমোহন - রথে ট্রাকে চড়বেন মদনমোহন
প্রতি বছর রথে চড়ে শহর ঘুরে মাসির বাড়িতে যান মদনমোহন। কোরোনা পরিস্থিতিতে সেই নিয়ম পরিবর্তন করা হল ৷ এবার কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর ট্রাকে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন ৷ কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডে এই কথা জানায় ৷
1890 সাল নাগাদ কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে কোচবিহারে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই প্রতি বছর রথে চড়ে কোচবিহার শহর ঘুরে গুঞ্জবাড়িতে মাসির বাড়িতে যান মদনমোহন। সাতদিন সেখানে থেকে উলটো রথের দিন আবার মদনমোহন বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু কোরোনা পরিস্থিতির জেরে এবার আর কাঠের রথে নয়, ট্রাকে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। একটি ট্রাক ফুল দিয়ে সাজানো হবে। এরপর সেই ট্রাকের সামনে দড়ি লাগানো হবে।
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান সেই ট্রাকের দড়িতে টান দিয়ে যাত্রার সূচনা করবেন। আগে কোচবিহারের রাজারা এই যাত্রার সূচনা করতেন । মদনমোহন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোচবিহার শহর ঘুরে গুঞ্জবাড়িতে মাসির বাড়ি যাবেন। তবে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে গুঞ্জবাড়ি মন্দিরে যে সাতদিন ধরে মেলা ও কীর্তন চলে সেগুলো এবার হচ্ছে না। কোচবিহারে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন ৷ ভোরে মন্দিরে বেজে ওঠে নহবতের সুর ৷ সেই সুরের আমেজে ঘুম ভাঙে মদনমোহনের ৷ সেই সুরেই ঘুম ভাঙে শহরবাসীরও ৷ ৷ বৈরাগী দিঘির পাড়ে তৈরি হয় মদনমোহন মন্দির। 1890 সালে 21 মার্চ মদনমোহনকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।