কোচবিহার , 9 মে : লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে কাজকর্ম । বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি থেকে রওনা দিয়েছেন 19জন শ্রমিক ৷ কিন্তু ,বাড়ি পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িসহ চম্পট দেন দুই চালক ৷ পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে গাড়ির চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ে আসা হয় । চালকরা এলে তাঁদের ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ ঘটনাটি কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহের ।
মাঝপথে শ্রমিকদের নামিয়ে গাড়ি নিয়ে পালালেন 2 চালক
গতকাল রাত 10টা নাগাদ জামালদহ বাজারের রাস্তার পাশে 19জন শ্রমিককে রেখে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন দুইজন চালক ৷ ওই শ্রমিকদের বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের গোলেনাহাটি এলাকায় ৷
গতকাল রাত 10টা নাগাদ জামালদহ বাজারের রাস্তার পাশে 19জন শ্রমিককে রেখে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন দুইজন চালক ৷ শ্রমিকদের বাড়ি কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের গোলেনাহাটি এলাকায় ৷ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা শিলিগুড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন । জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতু এলাকা থেকে দু'টি ছোটো গাড়ি ভাড়া করেন ৷ কিন্তু ,গাড়ি দু'টি তাঁদের বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে মাঝপথে জামালদহে নামিয়ে দেয় ৷ অপরিচিত শ্রমিকদের একসঙ্গে দেখে জামালদহের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ যে দু'টি গাড়ি তাঁদের ফেলে দিয়ে চম্পট দিয়েছে সেই গাড়ির চালকদের ফোন করে ফিরিয়ে আনেন জামালদহের বাসিন্দারা ৷ এরপর ,ওই দুই চালককে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ গতরাতেই পুলিশ ওই দু'টি গাড়িতে করে শ্রমিকদের মেখলিগঞ্জ থানা এলাকায় নিয়ে যায় ৷ পরে যোগোযোগ করা হয় শীতলকুচি থানার পুলিশের সঙ্গে ।
শ্রমিকদের মধ্যে নার্গিস বিবি ,আকিবুল ইসলাম ,মামিনা বিবি বলেন, "আমরা শিলিগুড়ি থেকে হেঁটে আসার পথে তিস্তা সেতুর এলাকায় দু'টি গাড়ি ভাড়া করি । বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু চালক দু'জন আমাদের মাঝপথে নামিয়ে দিয়ে চলে যান ৷ পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করেছে ।" এদিকে রাতে অপরিচিত মানুষজন এভাবে এলাকায় ঢুকে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হন ৷ শ্রমিকরা কোন রাজ্য থেকে ফিরছেন সেটা স্পষ্ট করে প্রকাশ করেননি । কোথায় কাজ করতে গেছিলেন তাও জানাননি ৷ শুধু শিলিগুড়ি থেকে ফিরছেন তাই জানান ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে একজন বলেন, "জনবসতিপূর্ণ এলাকা জামালদহ । এমনিতেই আতঙ্কে রয়েছি আমরা । গাড়ির চালক কেন শ্রমিকদের এভাবে রেখে চলে গেল?" মেখলিগঞ্জ পুলিশের তরফে জানা যায়, শ্রমিকদের বাড়ি শীতলকুচিতে হওয়ায় শীতলকুচি থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । তাঁদের সেখানকার কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হবে ৷