কলকাতা, 20 জুন : বহাল রইল রাজ্যের বাইরে পড়তে যাওয়ার ট্রেন্ড । রাজ্য জয়েন্টে সেরা দশে আসা কৃতীদের লক্ষ্য ভিনরাজ্যের IIT-গুলি । রাজ্য জয়েন্ট (WBJEE)-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানাধিকারীদের কেউই রাজ্যে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি । JEE অ্যাডভান্সে ভালো র্যাঙ্ক করায় তাঁদের লক্ষ্য অন্য রাজ্যের IIT-গুলি । সেরা দশের তালিকায় প্রথম হয়েছেন সোহম মিস্ত্রি, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তমোজিৎ ব্যানার্জি ও তৃতীয় স্থানে কৌস্তভ সেন তাঁরা প্রত্যেকেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চান IIT থেকে । তাঁদের লক্ষ্য মুম্বই বা দিল্লির IIT।
রাজ্য জয়েন্টে প্রথম স্থানাধিকারী সোহম মিস্ত্রি এই সাফল্যে খুব খুশি । তিনি বলেন, "প্রথমেই আমি আমার বাবা ও মা-কে ধন্যবাদ জানাব । তাঁরা সবসময় পিছনে থেকেছেন । আমাকে কোনদিনও মানসিক চাপ দেননি যে ফার্স্ট হতে হবে বা সেকেন্ড হতে হবে । নিজের 100 শতাংশ দিয়ে আসিস, এটাই বলেছে ব্যাস । আমি খুবই খুশি । আমি আমার বাবা-মা-কে গর্বিত করতে পেরেছি । শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও গর্বিত করতে পেরেছি । বোর্ড আর এন্ট্রান্স এক্সামিনেশনের মধ্যে ব্যালেন্স করাটা খুব কঠিন । তার জন্য 6 ঘণ্টা সেল্ফ-স্টাডি তো করেইছি । ফ্রি টাইমে একটু টিভি দেখতাম, সিনেমা দেখতাম, পার্সোনালিটি ডেভলপমেন্ট বই পড়েছি ।" উচ্চশিক্ষার জন্য IIT মুম্বই লক্ষ্য সোহমের । তিনি বলেন, "আমি JEE অ্যাডভান্সে 48 র্যাঙ্ক করেছি । তো আমি IIT মুম্বই থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ব ।"
দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের ছাত্র তমোজিৎ ব্যানার্জি বলেন, "আমার ক্লাস 9 থেকেই সায়েন্স আর ম্যাথের প্রতি খুব ভালোবাসা ছিল । ক্লাস 11-এ উঠে IIT, JEE আর WBJEE-এর ব্যাপারে শুনলাম । তাই ওই সংক্রান্ত পড়াশোনা করেছিলাম । মা-বাবা এই সাফল্য পেতে খুব সাহায্য করেছেন । আমার বন্ধুরাও খুব সাহায্য করেছিল । আমি ক্লাস 11-এ 2 ঘণ্টা সেল্ফ-স্টাডিতে মোটামুটি প্রত্যেকদিন দিতাম । ক্লাস 12-এ তিন-চার ঘণ্টা দিতাম । বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে দেড় ঘণ্টা ও আসতে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত । যাতায়াতের সময়টাও মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতাম বই পড়ে । বন্ধু ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাও খুব সাহায্য করেছেন ।" স্বপ্ন IIT মুম্বাই থেকে পড়ার । কিন্তু JEE অ্যাডভান্সে র্যাঙ্ক সেভাবে না করায় IIT দিল্লি থেকে পড়বেন তিনি । তারপরে M.Tech করবেন ।