সাঁইথিয়া, 11 এপ্রিল : ভোট প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শতাব্দী রায়। আজ সাঁইথিয়া যাওয়ার সময় রাস্তার দাবিতে মাঝপথে শতাব্দী রায়ের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখান মাঠপলসা পঞ্চায়েত এলাকার মহিলারা। স্থানীয় বাসিন্দারা স্লোগান তোলেন, "আগে রাস্তা তারপর ভোট।"
"আগে রাস্তা পরে ভোট", প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী
সাঁইথিয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শতাব্দী রায়।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী ওই এলাকারই একটি সভামঞ্চ থেকে বলেন, "আসার সময় দেখলাম এই রাস্তাটার আবেদন আছে, রাস্তাটা খারাপ। নির্বাচনের সময় কোনও কথা দেওয়া যায় না। নির্বাচন হয়ে যাক আমি নিশ্চয়ই দেখে নেব।" তিনি আরও বলেন, "গত দু'বারে আমার কাছে যে 50 কোটি টাকা ছিল সেই টাকায় স্কুলে পরিশুদ্ধ জল, রাস্তাঘাট, কমিউনিটি হল, কালচারাল স্টেজ, অ্যাম্বুলেন্স সব দেওয়া হয়েছে। যদি আপনারা বলেন যে 100 ভাগের 100 ভাগ কাজ করতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। আপানারা ভাবুন এতদিন আপনারা যা পাননি সব কি এই 50 কোটি টাকায় হওয়া সম্ভব? যদি এখানে কেউ রাজি থাকেন তাহলে তিনি আমার কাছে আসবেন। আমি তাঁকে দায়িত্ব দিতে পারি। তাঁর হাতে 50 কোটি টাকা তুলে দিতে পারি। তিনি পুরো কাজ করে এই সমস্যার সমাধান করুক, আমার কোনও আপত্তি নেই।"
বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে শতাব্দী রায়কে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল বলেন, "কাজ করেনি তাই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। কাজ করলে তো আর মানুষ বিক্ষোভ দেখাত না। আমার আর তেমন কিছু বলার নেই।" দু'বারের সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁকে কখনও জল, কখনও নিকাশি ব্যবস্থা কখনও বা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। ৯ এপ্রিল তিনি সিউড়ি হাটবাজারের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলাদের সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। আর আজ আবার সাঁইথিয়ার মাঠপালসা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারডাঙা গ্রামে ঘটল একই ঘটনা। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ এবং স্থানীয় নেতারা গ্রামবাসীদের শান্ত করে শতাব্দী রায়ের গাড়ি প্রচারের উদ্দেশ্যে গন্তব্যে নিয়ে যান।