কাঁকরতলা (বীরভূম), 28 মার্চ : অস্ত্র মজুত ও ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা। এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে। ধৃত চণ্ডীচরণ মণ্ডল খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। গতকাল তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চণ্ডীচরণ। জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জেল থেকে বেরোলে দল এবং পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
অস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
বাড়িতে মজুত ছিল অস্ত্র। গোপনসূত্রে তা জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার হয় তৃণমূল নেতা চণ্ডীচরণ মণ্ডল।
মঙ্গলবার রাতে চণ্ডীচরণকে গ্রেপ্তার করে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে 341, 448, 143, 325, 326, 307, 120 B, 379, 34 IPC ও 25, 27 (আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ও ব্যবহার) ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। গতকাল তাঁকে আদালতে তোলার সময় পুলিশের তরফ থেকে তদন্তকারী অফিসাররা সাত দিন জেল হেপাজতের আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে বিচারক তাঁকে তিনদিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে চণ্ডীচরণ বলেন, "কী হয়েছে জানি না। আমাকে হঠাৎ রাত ১টায় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়। কারণ জানতে পারিনি। বিনা প্ররোচনায় আমাকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। জঙ্গিদের মতো অত্যাচার করে আমার উপর। রাজনৈতিক ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি জেল থেকে বেরিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দেব ও দল ছেড়ে দেব।"