শান্তিনিকেতন, 7 জানুয়ারি : এবার সরাসরি বিশ্বভারতীতে রাজনীতি করতে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্বে অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা দিয়ে দলীয় পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল করেন কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার পর ওই রাস্তার উপর মাইক-বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহের সামনে বড় বড় মাইক-বক্স বাজিয়ে চলছে অনুষ্ঠান। এই এলাকা 'নো সাউন্ড জোন' বা 'নো হর্ন জোন' হিসেবে ঘোষিত রয়েছে বহুদিন ধরেই। হঠাৎ করে পূর্ত বিভাগের তরফে বিশ্বভারতীর ভিতরে এই ধরনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ফলে, বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন প্রভৃতির সামনে দিয়ে যাওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। পূর্ত বিভাগের তরফে বোর্ড লাগিয়ে রাস্তার দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার-সহ ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর।
আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য পাগলামি না ছাড়লে সরাসরি বিশ্বভারতীতে তিনি রাজনীতি করবেন। বিশ্বভারতীর ভিতরে গিয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন বোলপুরে পদযাত্রা করেন, সেদিন বিশ্বভারতীজুড়ে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। নিন্দা করেছিলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। এবার দেখা গেল বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সংগীত ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল করেন কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন:বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে : চন্দ্রিমা