নলহাটি, 5 জুলাই: "আমি শ্বশুরবাড়ি এতবার যাইনি, যতবার বীরভূমে এসেছি ৷" পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বীরভূমের নলহাটিতে গিয়ে এ ভাবেই সেখানকার বাসিন্দাদের আপনজন হওয়ার বার্তা দিলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় । বুধবার তিনি বলেন, "ভোট নিয়ে পালিয়ে যাইনি । অনেকে ভেবেছিল শতাব্দী নায়িকা মানুষ । ভোট হয়ে গেলে আর দেখা যাবে না । কিন্তু সেটা করিনি ৷"
মঙ্গলবার বীরভূমের নলহাটি 2 নম্বর ব্লকের ভদ্রপুর গ্রামে প্রচারে যান শতাব্দী রায় । ওই ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে সভা করেন তিনি । বিকেলে ভদ্রপুর গ্রামেও সভা ছিল । সেখানেই তিনি মানুষের আস্থা পেতে কাছের মানুষ হওয়ার কথা বলেন । শতাব্দী বলেন, "2009 সালে জেতার পর রামপুরহাট এবং সিউড়ি যতবার এসেছি ততবার শ্বশুরবাড়িও যাইনি, মা বাবার সঙ্গেও দেখা করতে যাইনি । ঘুরে ঘুরে কালো হয়ে গিয়েছি । রাস্তাগুলি আমার থেকে অনেক পরিষ্কার । বহু নতুন নতুন রাস্তা করেছি । এখানকার মানুষ মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করে সমস্যার কথা বলেন । এমনকী গরু হারালেও আমাকে খুঁজে দেওয়ার কথা বলেন । মনে রাখবেন, গরু হারানোর কথা কিন্তু পঞ্চায়েতকে বলতে হবে । আমার কাজ আমি করে যাব ৷"
আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতই কি হবে জবাব দেওয়ার মঞ্চ ? সম্মানরক্ষার লড়াই নন্দীগ্রামে
মহিলাদের উদ্দেশে এ দিন শতাব্দী বলেন, "মেয়েরা সাধারণত বয়স কমায় । মেয়েদের বয়স বাড়ে না বলে আমরা জানতাম । কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে মেয়েদের বয়স বাড়ছে । মেয়েদের জন্য দেওয়া সরকারি সুবিধা পেতে মেয়েরা মুখে মুখে বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে । দুয়ারে সরকারে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে । 25 বছর বয়স না হলে লক্ষ্মী ভান্ডার দেওয়া হয় না । এক মহিলা দুয়ারে সরকারে এসে বলছেন, তাঁর বয়স 25 বছর । কিন্তু লক্ষ্মী ভান্ডার পাচ্ছেন না । আমি যখন তাঁর আধার কার্ড দেখলাম, তখন দেখি বয়স 23 বছর । তখন মেয়েটা বলছেন, ওটা ভুল করে লেখা হয়েছে । তাই বলি, যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরা উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে পাচ্ছেন । যাঁরা পাবেন তাঁরাও উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে পাবেন ।"
ভদ্রপুরের সভায় ভালো লোক সমাগম হলেও তৈহারপুর গ্রামে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় শতাব্দীকে অনেকক্ষণ গাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করতে হয় । এ দিন শতাব্দীর সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের প্রার্থী আবু জাহের রানা ও শুভাশিস ভট্টাচার্য ।