বোলপুর, 11 জুন :ময়নাতদন্তের ঘরে মৃতদেহ রাখার জায়গায় রেফ্রিজারেটর বিকল। ফলে মৃতদেহ পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতলে। রোগীর আত্মীয়রা থেকে শুরু করে হাসপাতালে কর্মীরা এই নিয়ে এদিন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায়। জানা গিয়েছে, 2019 সালের নভেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত 13 টি মৃতদেহ রাখা রয়েছে। মৃতদেহের যথাযথ রাখার ব্যবস্থা করার জন্য একাধিকবার প্রশাসন ও পুলিশকে চিঠিও দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাজ হয়নি । আজ এই কথা জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দিপ্তেন্দু দত্ত।
2019 সালের নভেম্বর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত 13 টি মৃতদেহ রয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের ঘরে এই মৃতদেহগুলি অজ্ঞাত পরিচয়। দেহ গুলির দাবিদার পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ রাখার জায়গায় রেফ্রিজারেটর বিকল হয়ে যায়। ফলে দেহগুলি পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে ময়নাতদন্তের ঘর সংলগ্ন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগগুলিতে ভর্তি থাকা রোগীরা থাকতে পারছেন না। এতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা।
মৃতদেহ রাখার রেফ্রিজারেটর বিকল, দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগীদের
প্রায় আট মাস হাসপাতালে মৃতদেহ রাখার জায়গায় রেফ্রিজারেটর বিকল । আর এর ফলে মৃতদেহ পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । এই কারণে আজ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগীর আত্মীয়রা বিক্ষোভে সামিল হয় । পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে । হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার জানান, প্রশাসনকে একাধিকবার বলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।
পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মীরাও এই দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে ক্ষুব্ধ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, একাধিকবার মৃতদেহগুলি সঠিক ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কোনও ফল হয়নি। এদিন এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি, অবিলম্বে পচা-গলা দেহগুলি ব্যবস্থা করে হাসপাতালে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর বোলপুর থানার পুলিশ গিয়ে রোগীর আত্মীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি আপাতত সামাল দেয়।