বোলপুর, 22 ডিসেম্বর: বিকল্প পৌষমেলার (Alternative Pouch Mela) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমে বাড়ছে ৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য (Visva Bharati VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে একমঞ্চে বসবেন না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ এ বার তাঁকে পালটা জবাব দিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং (Chandranath Sinha)৷ তিনি বলেন, "উপাচার্যের নামেও মামলা আছে, তাই আগে নিজেকে ঠিক হতে হয় ।"
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং । তিনি বলেছেন, "আমন্ত্রণ সবাইকেই করা হয়, যাঁরা আসব বলে সম্মতি দেন, তাঁদের নাম কার্ডে দেওয়া হয় ৷ তিনি কখন কী বলেন সেটা তাঁর ব্যাপার । হয়তো অন্যমনস্ক ভাবে বলেছেন ৷ তবে মনে হয় না ঠিক বলেছেন ।"
মন্ত্রী আরও বলেন, "তিনি এখানে আসার আগে তাঁর তো কেস ছিল শুনেছি ৷ সুতরাং কারও সম্পর্কে কিছু বললে আগে নিজেকে ঠিক হতে হয় ৷ কাঁচের ঘরে বসে ঢিল মারতে নেই ৷"
প্রসঙ্গত, বিকল্প পৌষমেলার অনুষ্ঠানে দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে উপাচার্য এক মঞ্চে বসবেন না বলে জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বিশ্বভারতীর প্রেস বিজ্ঞপ্তির পালটা ব্যাখা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ।
আরও পড়ুন:দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসবেন না উপাচার্য, বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিশ্বভারতীর
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এ বছর হচ্ছে না । তবে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার । 23 ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই মেলা ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে । কিন্তু, আমন্ত্রণ পত্রের অতিথি তালিকায় নেই উপাচার্যের নাম ৷ এরপরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৷ তাতে বলা হয়, সিবিআই-ইডির-র তদন্তের আওয়ায় রয়েছেন আমন্ত্রিতদের অনেকেই ৷ তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসবেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য । বিশ্বভারতীর এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ।
বিকল্প পৌষমেলার অতিথি তালিকা নিয়ে তৃণমূলকে (Anupam Slams TMC) তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরাও (Anupam Hazra)। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নাম রয়েছে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের ৷ এতেই আপত্তি জানান তিনি ৷ বলেন, এটা কবিগুরুর অসম্মান ৷ প্রসঙ্গত, এই সুশান্ত দত্তগুপ্তর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে । এমনকী তাঁকে রাষ্ট্রপতি উপাচার্য পদ থেকে বহিষ্কারও করেছিলেন ৷