দেউচা-পাচামি, 9 ডিসেম্বর: আমেরিকার উত্তর এন্টিলোপ রোচেল কয়লা খনির পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাচামি (Deucha Pachami coal mine project in Bengal)৷ ছোট নাগপুর মালভূমির অন্তর্গত এই এলাকা খনিজ সম্পদে ভরপুর ৷ অনুমান, 3400 একর জমিজুড়ে 210 কোটি 20 লক্ষ টন কয়লা মাটির নীচে মজুত রয়েছে । এছাড়া কয়লার উপরের স্তরে আগ্নেয়গিরিজাত 1148 হেক্টর ব্যাসল্ট শিলা রয়েছে ৷ মাত্র 200 মিটার গভীর থেকেই কয়লার স্তর মিলবে এই অঞ্চলে ৷ এই বিপুল পরিমাণ কয়লা ও পাথর উত্তোলন হলে স্বাভাবিক ভাবেই শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৷ তবে এই শিল্পের জন্য জমি দিতে রাজি নন অনেকেই ৷
দেউচা-পাচামি ও দেওয়ানগঞ্জ-হরিণসিঙ্গা এই দুটি কোল ব্লক ভাগ করা হয়েছে ৷ 3400 একর জমির মধ্যে 1000 একর সরকারি জমি । প্রথমে সরকারি জমিতেই খোলামুখ কয়লা খনির কাজ শুরু করা হবে ৷ দেওয়ানগঞ্জ-হরিণসিঙ্গা কোল ব্লক থেকেই কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে ৷ এই এলাকায় 4 থেকে 5টি জায়গায় 20 বর্গফুট করে গর্ত করা হবে ৷ কোথায়, কত নীচে কয়লার স্তর রয়েছে তা নির্ণয় করেই উত্তোলনের কাজ শুরু হবে ৷ কয়লা উত্তোলনের কাজ করবে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড (WBPDCL)। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার 35 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে । এরই মধ্যে থেকে পুনর্বাসনের জন্য 10 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন:Deucha Pachami Coal Block : দেউচা-পাচামির জমি অধিগ্রহণ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ রাজ্যের
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই এলাকায় কমপক্ষে 20টি গ্রামে 4314টি বাড়িতে 21 হাজারেরও বেশি মানুষের বাস ৷ এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee on Deucha Pachami coal mine project) ঘোষণা করেছেন, পুনর্বাসন হিসাবে একজন ব্যক্তি বিঘা প্রতি 100 থেকে 13 লক্ষ টাকা পাবেন । এছাড়া স্থান পরিবর্তন, বসতি স্থাপনের জন্য আরও 5 লক্ষ টাকা পাবেন ৷ জমিহারা পরিবার পিছু একজন করে সরকারি চাকরি পাবেন ৷ এই অঞ্চলে প্রায় 285 জন ক্রাশার মালিক রয়েছেন । তাঁরাও পুনর্বাসন (Compensation for Deucha Pachami people) পাবেন ৷ সঙ্গে 6 মাস প্রতিদিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে 10 ট্রাক করে ব্যাসল্ট শিলা পাবেন ।