সিউড়ি, 8 অগস্ট: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে স্থগিতাদেশ দিল সিউড়ি জেলা আদালত। যদিও এই নোটিশে আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী 16 সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত নোবেলজয়ীর 'প্রতীচী' বাড়ির জমি খালি করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অমর্ত্য সেন তাঁর 'প্রতীচী' বাড়িতে তাদের 13 শতক জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এমনকী সেই জমি খালি করে দিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে চারটি চিঠিও পাঠানো হয় বিশ্বভারতীর তরফে। পরে জমি খালি করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে 'প্রতীচী' বাড়ির গেটে ঝোলানো হয়েছিল নোটিশও। তবে পালটা অমর্ত্য সেন দাবি করেন, প্রয়াত পিতা আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী সম্পূর্ণ জমি (1.35 একর) তাঁরই। অর্থাৎ, বিশ্বভারতীর দাবি করলেও ওই 13 শতক জমি তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৷ এই মর্মে সিউড়ি জেলা আদালত ও পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন 'ভারতরত্ন' অমর্ত্য সেন। কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, একইসঙ্গে মামলাটি নিম্ন আদালতকে শোনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিউড়ি জেলা আদালতে মামলাটি চলছে ৷ এদিন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারকই বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। অর্থাৎ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই জমি খালি করতে পারবে না। আগামী 16 সেপ্টেম্বর ফের মামলার শুনানি পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।