দুবরাজপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি : ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া বিল পাশ করেননি বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সরকারি কর্মী। সেকারণে তাঁকে মারধর করা হল। আক্রান্ত পঞ্চায়েত কর্মী মিলন মাহাতকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ উঠেছে নওলাখ খান নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। মারধরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে নওলাখ খানের বিরুদ্ধে। সে এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই হামলার পর থেকে পঞ্চায়েত কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনার পর কাজ বন্ধ করে দেন পঞ্চায়েত কর্মীরা।
বেআইনিভাবে বিল পাশ না করায় আক্রান্ত সরকারি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল - birbhum
ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া বিল পাশ করেননি বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সরকারি কর্মী। মারধরের অভিযোগ উঠেছে নওলাখ খান নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সে এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই এক লাখ টাকার বিল করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে যান ঠিকাদার নওলাখ খান। ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া বিল পাশ করতে রাজি হননি নির্মাণ সহায়ক মিলন মাহাত। অভিযোগ, এরপরই পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে নওলাখ। ফাইল ছিঁড়ে দেয় সে। বাধা দিতে গেলে বচসা শুরু হয়। তারপরই মিলনকে মারধর করে নওলাখ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন মিলন। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে সেখান থেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
নিরপত্তার দাবি নিয়ে ক্ষুব্ধ কর্মীরা বন্ধ করে দেন পঞ্চায়েতের কাজকর্ম। পরে পঞ্চায়েত প্রধান দুবরাজপুর থানায় ঘটনাটি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে। পঞ্চায়েতের প্রধান মুনমুন ঘোষ বলেন, "কাগজপত্র ছাড়াই বিল পাশ করাতে এসেছিল নওলাখ। আমাদের নির্মাণ সহায়ক না করায় তাঁকে মারধর করে সে। আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করেছি। পুলিশকেও জানিয়েছি বিষয়টি।"