বীরভূম, 29 এপ্রিল : তিনি অনুব্রত মণ্ডল ৷ বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ৷ লালমাটির জেলায় তাঁর এতটাই দাপট যে তাঁর নামের পাশে দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিশেষণটিও ফিকে হয়ে যায় ৷ স্বাভাবিক ভাবেই তাই ভোটের দিন তাঁর কী ভূমিকা হয়, সেদিকেই নজর থাকে সকলের ৷ যেমন রইল আজ, বৃহস্পতিবার ৷
এদিন অষ্টম দফায় বীরভূমের সবক’টি আসনে ভোট ছিল । ভোটের আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ৷ তার পরও এতটুকু বিচলিত না হয়ে দিনভর স্বমেজাজেই রইলেন কেষ্ট মণ্ডল ৷ আর দিন শেষে চওড়া হাসি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, "ফাইন খেলা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এমনিই ফরওয়ার্ডে রাখেননি ৷"
তবে সারাদিনে তাঁকে একবার দেখা গিয়েছিল এদিন ৷ যখন তিনি মেয়েকে নিয়ে ভোট দিতে গেলেন ৷ তার পর চলে আসেন বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে ৷ তার পর সেখানই দ্বাররুদ্ধ করে বসে রইলেন ৷
কিন্তু তাঁকে ঘিরে আগ্রহের এতটুকু ঘাটতি ছিল না কারও মধ্যে ৷ সকাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে ভিড় দেখা গেল সাংবাদিকদের । বাড়ির বাইরে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর 8 জওয়ানকে । ঠিক দুপুর 12 টায় তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে এক চিকিৎসক ও এক স্বাস্থ্যকর্মী আসেন । নজরবন্দি থাকাকালীন নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের তরফে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল ।
জানা গিয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে নিত্যদিনের মতো ব্যায়াম করেন অনুব্রত মণ্ডল । পরে স্নান করে পুজো দেন । সাড়ে 12 টা নাগাদ তিনি মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন । নিরাপত্তারক্ষীর বাইকে চেপে বাড়ির পিছনের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যান অনুব্রত । তাঁকে নজরে রাখতে পিছনে ছিলেন কমিশনের নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ।