রামপুরহাট, 1 মে : প্রতি মুহূর্তে কোরোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। গতকাল পর্যন্ত বীরভূম গ্রিন জো়নে অন্তর্ভূত থাকলেও আজ সকালে রামপুরহাট মহকুমার ময়ুরেশ্বর 1 নম্বর ব্লকের মল্লারপুরে 3 জন কোরোনা পজ়িটিভ হওয়ার জন্য মাথায় হাত পড়েছে বীরভূমবাসীর ।
বন্ধ রামপুরহাট-তারাপীঠ অটো, অনাহারে চালকদের পরিবার
লকডাউন থাকায় তারাপীঠে বন্ধ অটো, ট্রেকার । কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালকরা ।
রামপুরহাট রেলস্টেশন থেকে তারাপীঠ প্রায় 4 কিলোমিটার । বিভিন্ন জায়গা থেকে তারাপীঠে আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই রামপুরহাট রেল স্টেশন নেমে অটো করে করে তারাপীঠে যান । প্রায় প্রায় 300 ও বেশি অটো ও 100 টেকার চলে এই রাস্তায় । 2 হাজার ব্যক্তি এই অটো এবং ট্রেকারের উপরে নির্ভর করেই রুজি রোজগার করেন ।
লকডাউনে বেহাল অবস্থা তাঁদের । না খেতে পেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অটো চালকরা । সরকারি তরফে এখনও তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ । রেশনের চাল ও শহরের বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থাদের কাছ থেকে পাওয়া দান সামগ্রী নিয়েই কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছে তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রী গ্রিন জো়নে বাস বা অটো চলার কথা ঘোষণা করার পরে মুখে হাসি ফুটে ছিল তাঁদের। কিন্তু আজ সকালে বীরভূমের একই পরিবারের তিনজন কোরোনা আক্রান্ত হয় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে । যদিও এখনো সরকারিভাবে বীরভূম গ্রিন জো়নের অন্তর্গত।
রামপুরহাটের এক অটোর মালিক ফারুক শেখ বলেন " লকডাউন এর পর থেকেই রামপুরহাট তারাপীঠ প্রতিটা অটো বন্ধ। কোনওরকমে লোন করে অটো কিনেছিলাম। লোনের টাকা কীভাবে জমা দেব জানি না, দিনের পর দিন সুদ বাড়ছে। তবে শুধু লকডাউন খুললেই হবে না, ট্রেন চলাচল করতে হবে। ট্রেন না চললে তারাপীঠে মানুষ আসবে না। আমাদের অটো যাত্রী বলতে তারাপীঠে আশা পুণ্যার্থীরাই। "