বাঁকুড়া, 17 মে: এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর অঞ্চলে। খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মৃতার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সকালে গ্রাম সংলগ্ন একটি খালের পাড়ে গাছে গৃহবধূ ময়না বিবির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন কোতুলপুর থানায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার আখড়াশোল গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরকলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাজ্জাকের সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় ময়না বিবির (25)। বর্তমানে সাড়ে পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃতার আত্মীয়দের অভিযোগ শেখ রাজ্জাক বিবিকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে অভিযোগ তুলে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়েছিল। তার জেরেই ময়না বিবি বর্তমানে বসবাস করছিলেন তাঁর বাপের বাড়ি তালকড়া গ্রামে।
অন্যদিকে একমাত্র সন্তানকে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিল শওহর শেখ রজ্জাক। যে ঘটনায় মানসিকভাবে ভালো ছিলেন না ময়না বিবি। অভিযোগ, একাধিকবার দাবি করা সত্ত্বেও শিশু কন্যাকে ময়না বিবির হাতে তুলে দেয়নি রজ্জাক শেখ ও তার বাড়ির লোক। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ হন ময়না বিবি। এই মর্মে কোতুলপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল তাঁর বাপের বাড়ি তরফে। এরপরই আজ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল গ্রামের খালের পাড়ে। ওই খালের পাড়ে গাছে গৃহবধূ ময়না বিবির ঝুলন্ত দেহ দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাই পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতার বাড়ির লোকের অভিযোগ, গত বুধবার শেখ রাজ্জাক ফোন করে ময়নাকে ডেকে পাঠায়। ময়না বিবিকে বলা হয় বৃহস্পতিবারই তাঁর মেয়েকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তার পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ময়না বিবি। এরপর আজ সকালে খাল পাড়ে দেহ উদ্ধার হল।
এই বিষয়ে কোতলপুর থানার পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।