বাঁকুড়া ও নন্দীগ্রাম, 1 এপ্রিল : শেষ হল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ৷ চার জেলা মিলিয়ে মোট 30 টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল ৷ ছিল নন্দীগ্রাম ৷ একুশের ভোটে সবথেকে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র ৷ প্রেস্টিজ ফাইট ৷ মমতা বনাম শুভেন্দু ৷ শুধু বাংলা না, গোটা দেশ এমনকি দেশ বিদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিরও নজর ছিল মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথের দিকে ৷ কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে আজ বার বার করে সামনে চলে এল রাজনৈতিক হিংসা ৷
রক্ত ঝড়ল ৷ মাথা ফাটল ৷ খুন হল ৷ এই ভোট যেন গণতন্ত্রের উৎসব নয়, এ যেন গণতন্ত্রের হাহাকার ৷
পরিস্থিতি যে এমন হতে পারে, সেই ইঙ্গিতটা আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল ৷ আন্দাজ করতে পেরেছিল নির্বাচন কমিশনও ৷ সেই কারণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাসও দিয়েছিল কমিশন ৷ শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই মোতায়েন করা হয়েছিল 22 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ কিন্তু কিছুই যেন শেষ পর্যন্ত কাজে এল না ৷
দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই সোনাচূড়া থেকে শুরু করে একাধিক এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ৷ স্থানীয়রা বলছেন, গতরাত থেকেই মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছে এলাকায় ৷
দিনের প্রথম দুঃসংবাদটি আসে কেশপুর থেকে ৷ রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন এক তৃণমূল কর্মী ৷ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ৷ অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : আপনার কেন্দ্রে ভোট কবে, জানেন ? দেখে নিন একনজরে
দ্বিতীয় খবরটি আসে পাথরপ্রতিমা থেকে ৷ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া কিছু আগে বুথের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ ৷ যদিও তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি ৷ এরপর নন্দীগ্রামের পূর্ব ভেকুটিয়ায় এক শৌচালয় থেকে পাওয়া যায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ ৷ কমিশনের কাছে যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে ওই বিজেপি কর্মীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই ৷ তবে পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই হুমকির জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের ৷