পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কর্মসংস্থানের সন্ধানে ইউটিউবে ভিডিয়ো, সিলভার প্লে বটন পেল আলিপুরদুয়ারের যুবক

চা বলয়ে দুর্দশার জেরে কর্মসংস্থানের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় চা বলয়ের মানুষ । বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে নিরুদ্দেশ অগণিত যুবক যুবতি । আর এই চা বলয়েই যুবকদের চাকরির সন্ধানে নানা ভিডিয়ো পোস্ট করে ইউটিউবের সিলভার প্লে বটন সম্মান পেলেন শুভঙ্কর দেবনাথ ।

শুভঙ্কর দেবনাথ

By

Published : Jun 3, 2019, 11:16 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 3 জুন : চা বলয়ে কর্মসংস্থানের দাবিতে মানুষের হাহাকার । আর সেই কর্মসংস্থানের সন্ধান দিয়ে ইউটিউবরের তরফে সম্মান পেলেন এক যুবক । এমন ঘটনাই ঘটল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম চা বলয়ে । যুবকের নাম শুভঙ্কর দেবনাথ (28) । মাত্র দু'বছরেই তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছাড়িয়েছে 1 লাখ । সেই সুবাদেই ইউটিউব চ্যানেলের পক্ষ থেকে অ্যামেরিকার সদর দপ্তর থেকে তাঁর বাড়িতে এল সিলভার প্লে বটনের সম্মান ।

উল্লেখ্য, ইউটিউব চ্যানেলে চার ধরনের পুরস্কার পাওয়া যায় । সিলভার, গোল্ড, ডায়মন্ড ও কাস্টম । এই পুরস্কারগুলির মধ্যে 1 লাখ ফলোয়ার ছাড়ালে পাওয়া যায় সিলভার প্লে বটন ।

চা বলয়ে দুর্দশার জেরে কর্মসংস্থানের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় চা বলয়ের মানুষ । বিদেশে চাকরির প্রলোভনে পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে নিরুদ্দেশ অগণিত যুবক যুবতি । আর এই চা বলয়েই যুবকদের চাকরির সন্ধান দিতে বছর দুয়েক আগে হাতে একটি মোবাইল নিয়ে ইউটিউব যাত্রা শুরু করেছিলেন শুভঙ্কর । স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত যুবক যুবতিদের জন্য ভালো কিছু করবেন ।

সেজন্য ইউটিউবে চ্যানেল খোলেন । চ্যানেলের নাম এরা ফ্রেন্ড । দেওয়া হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরির খোঁজ-খবর এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্যাবলি । পাশাপাশি দিনের বাছাই করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিডিয়ো বানিয়ে ধারাবাহিকভাবে অনলাইন মারফত ইউটিউবে আপলোড করেন । এভাবে ভিডিয়ো দিতে দিতেই ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ে । আর এই সাফল্যের জন্য ইউটিউব অ্যামেরিকা কম্পানির CEO-র তরফে তাঁর ঠিকানায় সিলভার প্লে বটনের একটি স্মারকলিপিও পাঠানো হয় ।

ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারেও তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা নজরকাড়া । শুভঙ্কর বলেন, "মাধ্যমিক পাশের পর থেকেই প্রতিনিয়ত একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে লাগলাম । সঠিক সময় খবর পেতাম না । অনেক সময় যখন খবর পেতাম তার আগেই অন্তিম সময় পেরিয়ে যেত । তাই আমি ইউটিউবকেই বেছে নেই বেকারদের কাছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খবর পৌঁছানোর জন্য । এরপর জনসচেতনতামূলক ভিডিয়ো তৈরি করে পাবলিশ করি । ভালো সাড়াও পাই । সবার সাপোর্টও পাই । আজ অ্যামেরিকা থেকে সম্মান পেয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল করতে পেরে আমি সত্যিই খুব খুশি । আমার চ্যানেলের দর্শকদের জন্য আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ভালোবাসা ও অভিনন্দন ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details