আলিপুরদুয়ার, 2 নভেম্বর : ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্র । লজ-হোম স্টে, রিসর্টগুলির সিংহভাগ এখন পর্যটকদের দখলে । দুর্গাপুজোর ঠিক আগে থেকে পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছিল । পুজোর মধ্যে এবং পুজোর পরে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিন স্থানীয় ও বহিরাগত পর্যটকরা আসছেন । কালীপুজো পর্যন্ত যথেষ্ট বুকিং রয়েছে । কালীপুজোর পর ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চেনা ছন্দে থাকলে নিজেদের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানাচ্ছেন লজ, হোমস্টে , রিসর্ট মালিক থেকে গাইড , জিপ সাফারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ।
কোরোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়েছে । জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্রেও একই প্রভাব পড়েছিল । তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে । জয়ন্তী-র আকর্ষণই মানুষকে টেনে আনছে । আপাতত আলিপুরদুয়ার , কোচবিহার , জলপাইগুড়ি , শিলিগুড়ি থেকে বেশি মানুষ আসছেন । কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ থেকেও ছুটি উপভোগ করতে আসছেন অনেকে । উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবকটি ট্রেন চালু হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে ।
জয়ন্তীর স্থানীয় গাইড অজয় শর্মা বলেন, প্রতিদিন জিপ সাফারি চলছে । নির্দিষ্ট রুটে নির্দিষ্ট সংখ্যায় পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে গাড়ি ঘুরে বেরাচ্ছে । পর্যটকদের কাছে জিপ সাফারির যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে । এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , প্রায় সাত মাস পর মানুষ জঙ্গলে এসেছে । বন্যপ্রাণীদের বিশেষ করে হাতি , বাইসন(গাউর) ,সম্বর-সহ বিভিন্ন ধরনের হরিণ দেখা যাচ্ছে । শীত পড়তে বেশি বাকি নেই । ফলে বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মিলছে ।